Child Marriage বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতন করা হবে ছেলেদেরও

Published By: Imagine Desk | Published On:

Child Marriage  বাল্য বিবাহের কুপ্রভাব নিয়ে শুধু কিশোরীদের নয়, কিশোরদেরও সতর্ক করবে রাজ্য সরকার। বাল্য বিবাহ রোধে সোমবার রাজ্যস্তরের একটি আলোচনায়  রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা Dr. Shashi Panja  বলেন, “ এটা কেবলমাত্র নাবালিকাদের বিষয় নয়। ১৮ বছরের নীচের ছেলেদেরও বাল্য বিবাহের খারাপ দিকগুলো জানানো দরকার। আইনসিদ্ধ বয়সের আগে কেউ বিয়ে করতে চাইলে তাঁদের নিরুৎসাহিত করতে হবে” । আলোচনায় বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Child Marriage আলোচনায় শশী পাঁজা সরকারি আধিকারকদের বাল্য বিবাহ রোধে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে বলেন। বাল্য বিবাহ রোধে জেলা স্তরের পরিকল্পনা, বাল্য বিবাহের রিপোর্টিং ব্যবস্থা এবং বাল্যবিবাহ রোধের ববস্থার কথাও আলোচনায় আনার জন্য অনুরোধ করেন।

Child Marriage ২০২১ সালে এনএফএইচএস-এর সার্ভে অনুযায়ী ৪১ শতাংশেরও বেশি মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক ও অন্য আধিকাররা জানিয়েছে, ছেলেদের অনেকেরই ২১ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।

শশী পাঁজা বলেছেন, “ সচেতনতা গড়ে তুলেই এই জিনিস বন্ধ করা যাবে। বাল্য বিবাহ নিয়ে সভায়, কিশোরীদের পাশাপাশি কিশোর ও পুরুষ সদস্যদেরও যুক্ত করা দরকার”। এদিন একটিই গাইডলাইনও (‘Guidelines for Implementation of the Prohibition of Child Marriage Act 2006 in West Bengal’) প্রকাশ করেন তিনি

Child Marriage ২০২২ সালে বাল্য বিবাহ রোধ করতে রাজ্য সরকার ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাল্য বিবাহ রোধে  জেলার পরিকল্পনা তৈরি করছে। নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সংঘমিত্রা ঘোষ, ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান ড মঞ্জুর হোসেন সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এদিন জেলার আধিকারিকদের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন।

Child Marriage বাল্যবিবাহ রোধে স্বাস্থ্য দপ্তর, স্কুল শিক্ষা দপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর, কারিগরি শিক্ষা দপ্তর, কারিগরি শিক্ষা বিষয় দপ্তর সব দপ্তরের আধিকারিকদের মানবিকভাবে বিষয়টি দেখতে বলা হচ্ছে। শিশুদের অনলাইনে বিপদের কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে এদিন। মন্ত্রী ছাত্রীদের ক্ষমতায়নে কন্যাশ্রী পক্ষ উদযাপন ও কন্যাশ্রীর সাফল্যের  কথা জানান।

Child Marriage এনএফএইচএস-এর রিপোর্ট অনুসারে পূর্ব মেদিনীপুর (৫৭%) ও পূর্ব বর্ধমানে ( ৫০ %) বাল্য বিবাহ সবথেকে বেশি। রাজ্যের  সব থেকে কম বাল্য বিবাহ জলপাইগুড়ি জেলায়। দফতরের মুখ্যসচিব সংঘমিত্রা ঘোষ  জানান, রাজ্য সরকার ২০২৩ সালে ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় চাইল্ড ম্যারেজ রিপোর্টিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং মেকানিজম চালু করেছে। এর  মাধ্যমে জেলাগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা সম্ভব হবে। এই ব্যবস্থার নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করার আবেদন জানান তিনি।

এই আলোচনাকে ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ দপ্তরের প্রধান ড মঞ্জুর হোসেন Dr. Monjur Hossain – Chief Field Office – UNICEF “নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, কিশোর-কিশোরীদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের একযোগে উদ্যোগ গ্রহণ করা অপরিহার্য। তিনি বলেছেন, “ “সমাজের ভুল  রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নকে সমর্থন করতে হলে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, পঞ্চায়েত সদস্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG), ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, যুবক-যুবতীদের এগিয়ে আসা দরকার”।

জেলাগুলি তাদের সফল কৌশলগুলি ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা বিস্তারিতভাবে মন্ত্রী, সরকারী আধিকারিক ও ইউনিসেফ বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরেছে।

জেলার আধিকারিকরা বাল্য বিবাহ রোধে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের  অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বদের সংস্পর্শে আনা, মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রিপোর্টিং, হেল্পলাইনের কার্যকর ব্যবহার এবং বাল্যবিবাহ রোধে বিশেষ হস্তক্ষেপমূলক উদ্যোগ নেওয় যেতে পারে।