Murshidabad Child Marriage বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে এখনও মুক্ত হল না মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা। বাল্য বিবাহের (Child Marriage) বোঝা কীভাবে সারা জীবনের মতো স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে দিতে পারে তা নিয়ে সচেতনতা প্রচার হয় বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাল্য বিবাহ পুরোপুরি রোখা যায়নি। আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) শিশু দিবস (Childrens Day 2025)। তার আগে বৃহস্পতিবার একটি তথ্য সামনে এল। তা অনুযায়ী, বাল্য বিবাহ আটকানোর ঘটনা জেলায় এবছর বেড়েছে। প্রায় দ্বিগুণ হারে।
আরও পড়ুনঃ Children’s Day 2025 শিশু দিবস কেন পালিত হয় — ১৪ নভেম্বর: ইতিহাস, তাৎপর্য ও ২০২৫ সালের প্রাসঙ্গিকতা
Murshidabad Child Marriage জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় ৪৭১ টি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছিল। এবার দ্বিগুণ। অর্থাৎ ২০২৫ সালে সেই সংখ্যাটি ৯২৯। কখনও প্রতিবেশী, কখনও শিক্ষক, কখনও নাবালিকার কাছ থেকে জেনেই ওই বিয়ে আটকানো হয়েছে। সাধারণত ১০৯৮ ফোন নম্বরে ফোন আসে। জেলা চাইল্ড লাইন থেকে উদ্যোগ নিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে সচেতনতা বেড়েছে। তবে এটাও পরিষ্কার যে বাল্য বিবাহের আয়োজন হয়ে চলেছে। অভিযোগ, অনেক ঘটনা তো জানাই যায় না।
Murshidabad Child Marriage এই বিষয়ে জেলা শিশু অধিকার রক্ষা আধিকারিক অর্জুন দে এদিন বলেন, মিশন হিসেবে বাল্য বিবাহ রোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বহরমপুর ও হরিহরপাড়া ব্লক বাল্য বিবাহ ফ্রি ঘোষণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২ টি গ্রাম ফ্রি হয়েছে। পাঁচটি টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, জেলাস্তরে বিভিন্নভাবে এই সচেতনতা প্রচার করা হয়েছে। ইমাম, মোয়াজ্জিন, পুরোহিত, আইসিডিএস, আশা, অঙ্গনওয়ারি কর্মী, স্কুল শিখকদের নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে। তিনি জানান, এর জন্যে যে আইনি শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে সেই বিষয়ে আরও প্রচার দরকার। পরিবারকে, বাবা-মা সবাইকে বোঝানো দরকার। আবার নাবালিকার সঙ্গে পালিয়ে গেলে পকসো (Pocso) আইনের আওতায় জেল হতে পারে ছেলেটির। এগুলো জানা দরকার।
এদিকে জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দু’জন এবার রাজ্যস্তরে সাহসিকতার জন্যে পুরস্কার পাচ্ছে। মালদাতে ২০ নভেম্বর তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। আগামী ১৪ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত শিশু অধিকার (Child Rights) সপ্তাহ পালন করা হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চলে আসে এক কিশোরীকে ফেরত পাঠানো হবে। সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক স্তরে।











