মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ বহরমপুরে অনুষ্ঠিত হল দুর্গা পুজো কার্নিভাল ২০২৩। বহরমপুর ওয়াই এম এ ময়দানে চলল কার্নিভালের মহোৎসব। বৃহস্পতিবার দ্বাদশীর দিনে বিসর্জন হবে কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী প্রতিমাগুলির। গোটা বহরমপুর শহর তথা জেলাবাসীর জন্যে আবারও চমক। আগের বছরের মতো এবারও ধুমধাম করে আয়োজিত হল পুজোর কার্নিভাল। এদিন বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লরি কিংবা ট্রাক্টরে করে নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে উচ্ছ্বসিত পুজো কমিটিগুলিও।
শহর ও শহরতলি থেকে প্রায় ১৭ টি পুজো কমিটি তাঁদের প্রতিমা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে এই কার্নিভালে। জাঁকজমকপূর্ণ সেই শোভাযাত্রায় উৎসব শেষেও উৎসবের মরশুম বহরমপুরের ওয়াইএমএ মাঠে। ২৬ অক্টোবর, বিকেল ৪টে থেকেই জমতে শুরু করেছে ভিড়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দুর্গা প্রতিমা দেখার জন্য ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। ময়দান প্রাঙ্গণে মহা সমারোহে চলছে ধুনুচি নাচ থেকে রাইবেসে নৃত্য। আরও কত কি!মঞ্চে চাঁদের হাট রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে চেয়ারম্যান সহ বিশিষ্ট জনেরা। সকলে মেতেছেন উৎসবের আনন্দে।
আজকের এই কার্নিভালে মুর্শিদাবাদ জেলার দূরদূরান্ত থেকে পুজো কমিটি অংশগ্রহন করেছিল। ধুলিয়ান, ফারাক্কা সহ আরও অন্যান্য পুজো কমিটি আজকের এই মহোৎসবে সামিল হয়। সমস্ত পুজো কমিটিদের উৎসাহ চোখে দেখার মতন ছিল। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের সমাগম চোখে দেখার মতন ছিল। আট থেকে আশি সমস্ত বয়সী মানুষ আজকের এই বিজয়া দেখতে জমায়েত করেছিল। বলা চলে মেলা ছিল এটি।
যেখানে চোখে পরল সামাজিক বার্তা দিতে, চোখে পরল ধুনুচি নাচের চোট এবং বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই পায়ে পা মিলিয়ে নাচলেন এবং এইবারের মতন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালেন। একপ্রকার মেলা বসেছিল। যে মেলায় সামিল হয়ে খুশি শহরবাসী থেকে শুরু করে সমস্ত পুজো কমিটির মেম্বাররাও। আজকের এই কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে শুরু করে অন্যান্য উচ্চপধাধিকারিরাও। ওয়াই এম এ ময়দানে একদম চাঁদের হাট বসেছিল। একে একে চোখ ধাঁধান দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গেলেন অংশগ্রহনকারী সমস্ত কমিটিরা।
আম বাঙালির এই পাঁচদিনের পরেও এই যে অতিরিক্ত পাওনা। সেটা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সমস্ত শহরবাসী। আবার এক বছরের অপেক্ষা। ২০২২ সালে শুরু হওয়া বহরমপুর কার্নিভালের এটা দ্বিতীয়তম বর্ষ ছিল। এবং আগের বছর অংশগ্রহন করেছিল মোট ১৩টি কমিটি এবং এই বছর অংশগ্রহন করে মোট ১৭টি কমিটি। যার মধ্যে ধুলিয়ান এবং ফারাক্কা থেকেও আসে। এবারের কার্নিভালে উপরি পাওনা হিসেবে ছিল বিভিন্ন ধরনের লোকনৃত্য প্রদর্শন থেকে অন্যান্য প্রদর্শনীয়।