মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বড়ঞার কুলিতে সজল আনসারির বাড়িতে টানা ছয়ঘণ্টা চলছে সিবিআই তল্লাশি। সেই সময় হাতে জলের বোতল ও খাবারের প্যাকেট হাতে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় এক সিবিআই আধিকারিককে। যা দেখে এলাকার মানুষের অনুমান ‘দিল্লি বহুত দূর, তল্লাশি চলবে অনেকক্ষণ’। একইদিনে মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বড়ঞাসহ কোচবিহার ও কলকাতার মোট চারটি এলাকায় হয়েছে সিবিআই তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার সকালে, বড়ঞার কুলিতে শিক্ষা ব্যবসায়ী সজল আনসারির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় একই সময়ে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি ও দপ্তরেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অপর টিম। নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে এর আগে জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবন সাহা। সেই একই মামলার তদন্তে আবার মুর্শিদাবাদে এল সিবিআই। এবারও ঠিকানা বড়ঞা। কিন্তু বিধায়ক না, এবার লক্ষ্য কুলির শিক্ষা ব্যবসায়ী সজল আনসারি। সেখানে তদন্ত চলাকালীন এক সিবিআই আধিকারিককে দেখা গেল হাতে খাবার, জলের বোতল নিয়ে ঢুকতে। তাহলে কী ‘ম্যারাথন জেরা’র পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে জেলায়?
সজল আনসারি, নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই সূত্রের খবর। সজলের একাধিক বি.এড ও ডি.এল.এড কলেজ রয়েছে। এছাড়াও বড়ঞায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তুলকে জেরা করেই সজল সম্পর্কে এইসব তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রের আরও খবর। সজলের সঙ্গে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারও ঘনিষ্ঠতার খবর মিলেছে সূত্র মারফত। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রাখে সজলের বাড়ি।