মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ সচরাচর শোনা যায়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেই হরদম চলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে এই চেনা সুর শোনা যেতে থাকে বিজেপির দিক থেকেও। এখানেও লক্ষ্য করা যায় দলের ভেতরে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শুক্রবার এমনই এক অভিযোগের কথা উঠে এল বেলডাঙ্গার পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে। বেলডাঙ্গার মহুলা-১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েতের ভোটে টাকা নিয়ে এবং প্রার্থী বদল করা নিয়ে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি কর্মীরাই। অভিযোগ স্থানীয় মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধেও। শুক্রবার মহুলা-১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২৫-৩০ জন বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে থাকে জেলা সভাপতি এবং মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে।
সুকান্ত মণ্ডল এই পঞ্চায়েতের মণ্ডল সমিতির সম্পাদক জানান, বিগত এক বছর থেকে জেলা সভাপতির নির্দেশে এই সংগঠন মজবুত করার জন্যে। যোগ্য প্রার্থীর লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। যখন সেই সমস্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হবে তার আগেই নামের লিস্ট পরিবর্তিত হয়ে যায়। এবং মণ্ডল সভাপতি মলয় মুখার্জি টাকার বিনিময়ে সেই লিস্ট পাঠান জেলা সভাপতির কাছে। এর পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে মণ্ডল সভাপতি এই মণ্ডল কমিটির গঠন করেছে যাতে কেও না কিছু জানতে পারে।
দলের কর্মীদের দাবি, টাকার বিনিময়ে হয়েছে পঞ্চায়েতে প্রার্থী বদল। দলের প্রবীণ কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ কর্মীদের। দলের প্রবীণ সদস্য আনন্দ মণ্ডল জানান, আজ অনেক বছর ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করছি, সাধারণ মানুষের জন্যে। কিন্তু হঠাৎ দল আর আমাকে তালিকায় রাখল না। দলের বক্তব্য নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। কিন্তু যারা নতুন আসছেন তাঁরা ঠিক মতন জানেনই না এই পঞ্চায়েতের ভৌগোলিক পরিকাঠাম। কোথায় কি অবস্থায় রয়েছেন মানুষ, সেটাই চেনেনা একাংশ। এবং এই সমস্ত নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদ বিজেপি জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার এবং মণ্ডল সভাপতিও। শাখারভ সরকার জানান, “যে সমস্ত কর্মী আজ আমার বিরুদ্ধে এইসব মন্তব্য করছেন। তাঁরা সবাই তৃণমূলের লোক। একজনও বিজেপির না।” একপ্রকার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বেলডাঙ্গার মহুলা-১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্যরা। তবে এক সময়ের শক্ত ঘাঁটি বেলডাঙ্গায় বিদ্রোহ সামনে আশায় কার্যত অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির।