মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শারীরিক অসুস্থতার জন্য শিক্ষিকা চেয়েছিলেন বদলি। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। ঘটনায় হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষিকা। সেই মামলায় এবার জেলা স্কুল পরিদর্শককে তাঁর পদ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২০২২ সালে সন্তানের অসুস্থতার জন্য বদলির আবেদন জানান মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। তখন তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেননি জেলা স্কুল পরিদর্শক নৃপেন কুমার সিনহা। এই নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দাখিল করা রিপোর্টে খুশি নয় আদালতও।
এবারে তিন সপ্তাহের মধ্যে বনানী ঘোষকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, “ডিআই যে কাজ করেছেন, তা আদালত ভালো চোখে দেখছে না। ডিআই’কে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।” সঙ্গে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দেন, অন্য দফতরে চাকরি করতে পারেন ডিআই। তাঁর কড়া মন্তব্য, “এই পদে চাকরি করার যোগ্য নন তিনি।”
নদীয়ার শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। তিনি মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বাড়ির কাছে বদলির আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্থ হন শিক্ষিকা। শিক্ষিকার বক্তব্য, সন্তান জটিল রোগে আক্রান্ত। এবং স্বামীও বিশেষভাবে সক্ষম। তাই বাড়ির কাছে বদলির আবেদন করেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করেন মুর্শিদাবাদের ডি.আই (প্রাইমারি) নৃপেন কুমার সিনহা। তারপরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। মুর্শিদাবাদের কত শিক্ষিক আছেন, জানতে চেয়ে ডিআই-এর রিপোর্ট তলব করে আদালত। তখন শিক্ষকদের তালিকার সঙ্গে প্যারাটিচারের সংখ্যা যোগ করে রিপোর্ট দেন ডিআই। সেই রিপোর্ট দেখেনই বিরক্ত হন বিচারপতি। কারণ, ইতিমধ্যেই অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, বদলির ক্ষেত্রে টিচার ও প্যারাটিচারের সংখ্যা এক করা যাবে না। এই ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্যই ডিআই-কে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি। ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।