Burwan TMC ২০২৬ এ বিধানসভা ভোট। তার আগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার দায়িত্বে ফিরলেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’ অনুব্রত মন্ডল। তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ধীরে ধীরে বীরভূমের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর উপরে এবার বড়ঞা বিধানসভার দায়িত্বও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন কেষ্ট।
Burwan TMC ২০১৬ সাল ও ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদের এই বিধানসভার পর্যবেক্ষক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফের অনুব্রত মণ্ডলকে বড়ঞা বিধানসভার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০২১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে এই বিধানসভায় জয়ী হয় তৃণমূল। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১৭ই এপ্রিল ভোরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার হন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। টানা ১৩ মাস পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ। তবে জেল থেকে ফিরলেও জেলা নেতৃত্বের সাথে তার কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে।
Burwan TMC কী বললেন বড়ঞার বিধায়ক?
Burwan TMC এমতাবস্তায় অনুব্রত মণ্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘ তৃণমূল সুপ্রিমো যেটা ঠিক মনে করেছেন সেটাই করেছেন। বড়ঞার বিধায়ক হিসেবে আমি গর্বিত, আনন্দিত। অনুব্রত মণ্ডল দক্ষ সংগঠক। ২০২১ সালেও এই বিধানসভার দায়িত্বে ছিলেন। একা কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে এই বিধানসভা দিদির হাতে উপহার দিয়েছেন। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে বীরভূম জেলা সভাপতিকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকেও বলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। অনুব্রত মণ্ডল সাহেবের সাথে আমি যোগাযোগ রেখে চলছি।’
Burwan TMC তবে বিধায়ক অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলেই জানালেন জেলা নেতৃত্ব। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার জানান বড়ঞায় অনুব্রত মণ্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, ‘ এ ধরনের কোন খবর আমার কাছে জানা নেই। আমি যখন এধরনের কোন খবর নিশ্চিত ভাবে নেতৃত্বের কাছ থেকে আমার কাছে নির্দেশ আসবে আমি নিশ্চয়ই তার উত্তর দেব।’
Burwan TMC তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সংগঠনের মধ্যেই পরে বড়ঞা বিধানসভা। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রাথী অমিয়কুমার দাসকে ২,৭০০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের থেকে লিড পেয়েছিল বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা ৫৫৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বড়ঞায়। ভোট অঙ্কে পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে আসতেই কেষ্টকে বড়ঞার দায়িত্বে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।