Budget For Bengal তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের প্রথম বাজেট। মঙ্গলবার বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল বিহার ও অন্ধপ্রদেশের জন্য দরাজ ঘোষণা। তবে পশ্চিমবাংলার জন্য শূন্যই। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীকে ঢেলে সাজানোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিহার পেল সড়ক, বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বরাদ্দ।
পড়শি রাজ্য বিহার যখন এত কিছু পাচ্ছে, তখন বাংলার জন্য বিশেষ কিছুই দেখা গেল না নির্মলার বাজেটে। পূর্বোদয় পরিকল্পনার কথা বলার সময় এক বার শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গের নাম। আর এক বার গয়ার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে অমৃতসর-কলকাতা বাণিজ্যিক করিডরের উল্লেখ। যদিও কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস তৃণমূল।
জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস তিনি জানান, “এই বাজেট জোটমুখী বাজেট। এই বাজেট জনমুখী বাজেট নয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চাষি যারা নতুন করে শিল্প তৈরি করার চেষ্টা করবে। তারা কিন্তু আর পারবে না। কর্মসংস্থান ঘটে সেখানেই যেখানে কর্মের সুযোগ থাকে। যেখানে কর্মের সুযোগ নেই সেখানে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে?”
তৃণমূল নেতা অশোক দাস তিনি জানান, “এই বাজেট ভারতবর্ষের বাজেট নয়। এই বাজেট অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারের বাজেট। বাংলার মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ সব এই বাজেটের বিরুদ্ধে”।
বিরোধীরা বাজেটকে দিশাহীন ও জোট মুখি বাজেট বলছে সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব আবার এই বাজেটকে জনকল্যাণ মূলক ও ঐতিহাসিক বলেই দাবি করছে। বিজেপি বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার তিনি জানান, “এবারের বাজেট অতন্ত্য জনকল্যাণ বাজেট। এটি একটি ঐতিহাসিক বাজেট। পরপর তিনাবার বাজেট পেশ হয়ে নজিরবিহীন বার্তা রাখা হল। মোদীজির নেতৃত্বে তিনবার বাজেট পেশ একটি উল্লেখ্য বিষয়। মানবকল্যান মূলক বাজেট এটি”। তৃতীয় বার ক্ষমতার আসার পর প্রথম বাজেট নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ।