Breakfast Tips সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। উঠলেও ক্লান্তি যেন পিছু ছাড়তে চাই না। সারাদিন কাজ করার কোনরকমের এনার্জি থাকে না। বর্তমানে এই সমস্ত বিষয় হরদম কোথাও না কোথাও শোনা যায়। বিশেষ করে ২২ বছরের বেশি যুবক-যুবতীদের থেকে আরও বেশি। কারণ এক পড়াশোনার চাপ, দ্বিতীয় কাজের চাপ তারওপর এত গরম। সব মিলিয়ে শরীরে ওপর ধকল যায় বড্ড। এবং দিন শেষে খাবারের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকে না বলে পুষ্টির পরিমাণ পূর্ণ হয় না।
সকালে অনেকেই পেট ভোরে খান না। ফলে শর্করা থেকে শুরু করে প্রোটিন কিছুই ঠিক মতন তাদের শরীরে প্রবেশ করে না। অনেকেই আবার রোগা হওয়ার জন্য পুরোপুরি শর্করা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু কাজ করার এনার্জির জন্য দরকার সামান্য পরিমাণ শর্করা।
এইমত পরিস্থিতিতে এমন কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে বা কিছু এমন খাবার খাওয়া যেতে পারে। যেগুলির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার।
সকালের খাবার-
মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- জ্যাম-জেলি বাদ দিয়ে সকালের মেনুতে রাখতে পারেন টক দই, সেদ্ধ ডিম, বাদাম, ছোলা সেদ্ধ। এই সমস্ত খাবারে লুকিয়ে উপযুক্ত শর্করা এবং প্রোটিন। একটি ডিমে লুকিয়ে ৬ গ্রাম প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। যেহেতু সহজেই হজম হয়ে যায় তাই ছোলা শরীরে এনার্জি তৈরি করার জন্য অনেক উপকারী। এই গরমের সময় নিয়মিত টক দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে, পেটের সমস্যা দূর করবে এবং স্কিন পরিস্কার করবে। পাশপাশি বাদামেও লুকিয়ে নানান উপকারিতা।
সবজি দিয়ে শুরু করুন-
সকালের খাবারে এক প্লেট স্যালাড রাখুন। তাতে যেন শশা, পেঁয়াজ, টম্যাটোর সঙ্গে রকমারি সবজি, যেমন লেটুস, পালং ইত্যাদিও থাকে।
তাই সকালে এই সমস্ত খাবার খেলে পেট ভর্তি থাকবে। কাজে মন লেগে থাকবে এবং যেকোনো কাজে এনার্জি আসবে।
গোটা ফল খান
টাটকা ফল খান। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফলের রস খেলে ফাইবার আর থাকে না। ফলের সব পুষ্টিগুণ পেতে হলে তাজা ফল খাওয়াই ভাল।
সকালের শুরুটা যদি ভালো হয় তাহলে সারাদিন কাজের এনার্জি থাকবে। কিছু না হোক শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি যাবে। কম বয়স থেকেই যদি আমরা পুষ্টির ওপর নজর দিয়ে থাকি। তাহলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়বে। যদিও যেকোনো চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই আমাদের খাবারের তালিকা তৈরি করা উচিত।