নিজস্ব সংবাদদাতা, জিয়াগঞ্জঃ বিজেপির সাংগঠনিক জেলাভাগের পর জিয়াগঞ্জে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। যা দেখে একইসঙ্গে খুশি ও বিস্মিত বিজেপি’র রাজ্য সভাপতিও।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুর্শিদাবাদ সফরে এসেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার সফরের শেষ কর্মসূচি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদ বিধানসভা। ওই বিধানসভার জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ব্লকে জনসভা করেন সুকান্ত। তার আগে ওইদিন দুপুরে জিয়াগঞ্জের ফুলতলা মোড় থেকে বাগডহরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করেছিল মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সেই পদযাত্রায় জনতার ঢল নামে। যা সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি’র ব্যানারে কেউ দেখেছেন কি না মনে করতে পারছেন না দলেরই কেউ কেউ।
স্বাভাবিকভাবেই ফের সামনে এসেছে বিজেপি’র গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গ। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি’র সংগঠনে রদবদল হয়। সেই রদবদলে বিজেপির দক্ষিণের দায়িত্ব পান শাখারভ সরকার। গৌরীশঙ্করের বিধানসভা কেন্দ্র শাখারভের অধীনস্ত থাকলেও দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের সঙ্গে বিধায়কের দূরত্ব বাড়তে থাকে। ক্রমশ সংগঠনের সিদ্ধান্তে বিধায়ক ও সভাপতির প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মতামত দিতেও কসুর করেন নি। সেই খবর পৌঁছেছিল মুরলীধর লেনেও।
পরবর্তী সময়ে বিজেপি জেলা সংগঠন তিন টুকরো করতে বাধ্য হয় রাজ্য। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌরী ঘনিষ্ঠ সৌমেন মন্ডলের ওপর। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হওয়ায় মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের জেলা সভাপতির পদে এই সৌমেনকেই বসাতে চেয়েছিলেন গৌরীশঙ্কর। কিন্তু সেই দাবি রাজ্য নেতৃত্ব না মানায় দলের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত বলেই দাবি করেন একাংশ বিজেপি নেতা।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতির সামনে দু কিলোমিটার পদযাত্রায় জনজোয়ার ডেকে কার্যত গৌরীশঙ্করের মান বাঁচালেন সৌমেন। যদিও তা মানতে নারাজ সভাপতি। তিনি বলেন, “বিজেপি কোনও ব্যক্তিবিশেষের দল নয়। তাই এখানে দল হিসেবে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থার প্রমাণ মিলেছে মিছিলে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।” গৌরীশঙ্করও বলেন, “ বিজেপির নতুন সাংগঠনিক জেলার মানুষরা তৃণমূলের চাল চুরি, কয়লা চুরির বিরুদ্ধে বিজেপিকেই চাইছে এই মিছিল তার প্রমাণ।”