নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির বহরমপুর জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। এদিন তিনি অধীরকে ‘চ্যাংড়া ছোঁড়া’ বলে কটাক্ষও করেন। শাখারভকে পাল্টা একহাত নেয় কংগ্রেসও।মাস তিনেক আগে মহালয়ার পরের দিন বহরমপুরের বাইপাস দিয়ে হেলমেট ছাড়াই বাইক ছুটিয়ে ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ। কংগ্রেসের দাবি সেদিনই ওই রাস্তায় যান চলাচলের সূচনা করেছিলেন অধীর। বড়দিনের সকালে সেই ঘটনা সামনে এনে অধীরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন শাখারভ সরকার।
এদিন তিনি বলেন, “একজন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কোন এক্তিয়ারে বেআইনীভাবে চ্যাংড়া ছোঁড়ার মতো বিনা অনুমতিতে পকেটে সবুজ পতাকা নিয়ে গিয়ে রাস্তায় সেই রুমাল নাড়িয়ে লাফাঙ্গাদের মতো রাস্তা উদ্বোধন করেন। এভাবে সড়ক উদ্বোধন হয় না। জেলাবাসী তা মানবে না। উনি ২৫ বছরের সাংসদ হলেও কোনও কাজ করেননি সংসদ এলাকায়।” ওই রাস্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে উদ্বোধন করার আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি করেন শাখারভ।
তাঁকে ‘রাজনৈতিক আঙিনায় একজন অর্বাচীন’ বলে শাখারভকে পাল্টা তোপ দেগেছেন জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। এদিন তিনি বলেন, “ উনি টিকিট পাওয়ার জন্য দলের উঁচু তলাকে খুশি করতে এই ধরনের কথা বলছেন। দুদিন পরে টিকিট না পেলে মুখ দিয়ে কথা বেড়বে না। তা জল হয়ে চোখ দিয়ে বেড়বে।” জয়ন্ত আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি থেকে ওঁর দলের প্রথম সারির নেতারা জানেন লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে কীভাবে সম্মান করতে হয়। সুকান্ত বাবু (মজুমদার) দিল্লিতে দুজন আর্দালী নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের একজন আপনি।” জয়ন্ত বলেন, “ পকেটে করে পতাকা নিয়ে যেতে হয় না। আপনি জানেন না ভুতল পরিবহনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সড়ক পথের উদ্বোধন করার জন্য। অর্বাচীনের মতো কথা না বলে আপনার দলের শীর্ষ নেতার মতো বিনয়ী হন।”