Bharatpur TMC লোকসভা ভোটের আগে ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বহরমপুর লোকসভার ভরতপুর থানার স্বরডাঙ্গা। বোমাবাজিতে আহত হয়েছেন প্রায় ৮ জন। শনিবার সকালে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাঁধে । সেই সময়ই বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আহতদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। বিবাদমান দুই গোষ্টীই তৃণমূল কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ ছিল।
কান্দি হাসপাতালে আহত হাবিবুর শেখ বলেছেন, ওরা সঞ্জয় সরখেলের লোক। আমারা নজরুল ইসলাম টারজানের লোক। পঞ্চায়েতে হারের সেই জেরেই এই হামলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জজান গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছে। অন্য গোষ্ঠী তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে দাঁড়ায়।
ভরতপুর ১ ব্লকের জজান গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী হন মাফেজা বিবি খাতুন। তৃণমূলের অফিশিয়াল প্রার্থী সারমিনা বিবিকে হারান তিনি। তার জেরেই এই ঘটনা।
তৃণমূল প্রার্থী সারমিনা বিবির স্বামী সাইরুল সেখ ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে উঠেছে হামলার অভিযোগ। গুরুতর আহত রেন্টু শেখ নামের এক যুবক।
পঞ্চায়েতের সদস্যর স্বামী, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমসার সেখ দাবি করেছেন, ভোটে হেরেই এই হামলা করেছে অন্যপক্ষ। আহত হয়েছেন নির্দল হিসেবে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য মফেজা বিবি খাতুনও ।
বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী করছে ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠানকে। ভোটের আগে এই কান্ডে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলেই এই বোমাবাজি। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের দাবি, তৃণমূলের কোন কোন্দল থেকে এই ঘটনা নেই। মিডিয়া এই ঘটনায় রাজনীতির রঙ দেখছে। গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম টার্জেন এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সরখেল।