Bharatpur Politics ধোপে টিকল না ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের Humayun Kabir আপত্তি। অনাস্থা পাশ হল ভরতপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৯ কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার স্থায়ী সমিতির সভায় ২৮ জনই অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ভরতপুর 1 Bharatpur 1 ব্লকের বিডিও দেওয়া শেরপার উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হয়। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির এই অনাস্থা ভোটে ৩৬ জন সদস্যের মধ্যে ২৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ২৮ জনই বর্তমান স্থায়ী সমিতির বিরুদ্ধে ভোট দেয়। সভা থেকে অপসারিত করা হয় ৯ কর্মাধ্যক্ষকে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। যদিও এদিন স্থায়ী সমিতির অনাস্থা সভায় ছিলেন না সাংসদ, ছিলেন না দুই বিধায়কও। ভরতপুরে ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম টারজেনের দাবি, দলে বেনোজন ঢুকেছিল। সংশোধন হচ্ছে।
Bharatpur Politics ২৬ জুলাই এই বিষয়ে মুখও খোলেন হুমায়ুন কবির। দেন হুঁশিয়ারিও।
সেদিন হুমায়ুন কবির প্রশ্ন তুলেছিলেন , কেন ভরতপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকের অপসারণ করা হবে ? অপসারণকে অন্যায় বলে দাবীও করেন দিনি। দেন দলে ফের মুখ খোলার হুঁশিয়ারিও। গত ১৭ ই জুলাই, ভরতপুরে প্রকাশ্যে আসে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব। বিধায়ক অনুগামী স্থায়ী সদস্যদের ৯ কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন দলেরই ১৪ জন সদস্য। কান্দির মহকুমা শাসক উৎকর্ষ সিং এর কাছে জমা দেওয়া হয় অনাস্থা প্রস্তাব। মহকুমা শাসকের নির্দেশে ৩০ শে জুলাই ছিল অনাস্থা বৈঠক হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ১৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ৮ জন পঞ্চায়েত প্রধান ও দু’জন জেলা পরিষদ সদস্য অনাস্থা ভোটে অংশ নেন। অনাস্থা ঘিরে ভরতপুর ১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরের বাইরে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। তদারকিতে ছিলেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা।

Bharatpur Politics ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ২৩ জন। সহ সভাপতি মারা যাওয়ায় বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ২২ জন। বুধবার অনাস্থা সভায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও স্থায়ী সমিতি মিলিয়ে মোট ৩৬ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ জন। যার মধ্যে একজন কংগ্রেস সদস্যও অনাস্থা সমর্থন করেন বলে দাবি তৃণমূলের । ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে টালবাহানা, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে গত পঞ্চায়েত ভোটের পরেই। গত পঞ্চায়েত ভোটে ২৩ আসনের ভরতপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৭টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস ৫ টি এবং নির্দল প্রার্থী ১ টি আসনে জয়ী হয়।
Bharatpur Politics পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের সময় থেকেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের। তৃণমূলের একাংশ কংগ্রেস ও নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে তৃণমূলের একাংশ । সভাপতি হন তৃণমূলের সলমা সুলতানা। এর কিছুদিনের মধ্যেই নির্দল ও কংগ্রেসের ৪ সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। Bharatpur Politics সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের দখলে চলে আসে পঞ্চায়েত সমিতি। এরপরেই ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ৯ কর্মাধ্যক্ষের বিরোধ তৈরি হয়। সুত্রের খবর ৯ জনের মধ্যে চার কর্মাধ্যক্ষ, খাদ্য, পূর্ত, বিদ্যুৎ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের অনুগামী। এই চারজনকে সরাতেই অনাস্থা এনেছেন ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের অনুগামী সদস্যরা বলে অভিযোগ অপসারিত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আলী খানের । ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতিতে অনাস্থা ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব কি ভোট ব্যাঙ্কেও প্রতিফলিত হবে? উঠছে প্রশ্ন।