Berhampore কথায় আছে ফলের রাজ আম। আর গরমকাল মানেই বাজারে ফলের রাজার আগমন। কিন্তু এই পাকা আম খেয়েই অনেকসময় শরীর খারাপের সমস্যা লেগে থাকে। কার্বাইড দিয়ে সময়ের আগেই পাকিয়ে ফেলা হয় আম। কৃত্রিম ভাবে পাকানো সেই বিষাক্ত আম থেকে বাঁচতেই এবার শুরু কড়াকড়ি। কড়া হাতে মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।
Berhampore বিষমুক্ত আম যাতে সরাসরি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছায় সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে আমের পাইকারি বাজারে হানা দিল জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্ক ফোর্স Task Force। বহরমপুর নতুন বাজার থেকে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাইকারি ফলের বাজারে আচমকাই হানা দেন প্রশাসনিক কর্তারা। বিশেষজ্ঞরা পাকা আমের গুনগত মান পরীক্ষা করেন। এদিন অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ চিরন্তন প্রামাণিকের নেতৃত্বে বহরমপুর সদর মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায়, জেলা ফুড সেফটি অফিসার প্রশান্ত বৈদিক সহ উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক, জেলা পুলিশের enforcement আধিকারিক ও একাধিক ফুড সেফটি অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
Berhampore প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েকজন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা। তবে আম বিক্রেতাদের অভিমত, বাগান থেকে অনেক সময় আম পাকানোর জন্য “কার্বাইড” ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বেশ কিছু আম চাষির কাছে কার্বাইডে পাকা আম যেমন পাওয়া গেছে সাথে সাথে আম পাকাতে নিরাপদ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ইথিলিন ব্যবহারের নমুনাও মিলেছে।
Berhampore পাকা আমের মরশুমে বাজারে যাতে কৃত্রিমভাবে পাকানো আম ছড়িয়ে না পড়ে সেই দিকে করা নজর প্রশাসনের। আম বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাকা আমের বাজারে আচমকা হানায় অস্বস্তিতেও পড়েন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। অন্যদিকে পাকা আমের বাজারে টাস্ক ফোর্সের তৎপরতায় স্বস্তিতে আম আদমি।