Berhampore Sports ফুটবল ম্যাচে বাল্য বিবাহ ও শিশুশ্রম রোধের বার্তা

Published By: Imagine Desk | Published On:

Berhampore Sports  খেলার মাঠ আর শুধু খেলার জায়গা নয়—এবার সেটাই হয়ে উঠল সামাজিক বার্তা ছড়ানোর মঞ্চ। বাল্য বিবাহ ও শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার বার্তা নিয়ে  মুর্শিদাবাদে শুরু হল বিশেষ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। বুধবার  বহরমপুরের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রীয় কল্যাণ ভবনে অনুষ্ঠিত হল এক সম্প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের সূচনা হল ।

উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিএসডব্লিউ হোমগোরাবাজার আইসিআই Gorabazar Iswar Chandra Institution এর আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে। দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে যেমন ফুটবল কৌশলে নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দেয়, তেমনই খেলার শুরুতে  উঠে আসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু—বাল্য বিবাহশিশু শ্রম

Berhampore Sports

Berhampore Sports  এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর সদর মহকুমার এসডিও SHRI SUBHANKAR ROY, WBCS(Exe)  শুভঙ্কর রায় , মুর্শিদাবাদ জেলার ডিস্ট্রিক্ট মাস এডুকেশন অফিসার অমিত সাহা ,  হোম সুপারিন্টেনডেন্ট, এবং সদর মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সম্পাদক সহ একাধিক সরকারি আধিকারিক ও ক্রীড়া সংগঠক। খেলার শুরুতে বহরমপুর সদর মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায় বলেছেন, ” ফুটবলে সকলে নিয়েই খেলতে হয়। এই সম্প্রীতির ম্যাচের মাধ্যমে আমরা বাল্য বিবাহ রোখার বার্তা দিচ্ছি, শিশু শ্রমকে রোখার চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যে তোমরা ১৮ বছর বয়সে পা দেবে। ভোটার লিস্টে নাম তুলবে। সেই বিষয়েও আজ বার্তা দেওয়া হচ্ছে”। 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কল্যাণ আবাসে বসবাসকারী তফসিলি উপজাতি আবাসিক ছেলেমেয়েদের ক্রীড়া প্রতিভা ও আগ্রহ লক্ষ্য করেই এই প্রশিক্ষণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র খেলাধুলা নয়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে শিশুদের যুক্ত করাই মূল লক্ষ্য। মহকুমা শাসক সদর (এসডিও) এই বিশেষ দিনে হোমের আবাসিকদের হাতে খেলাধুলার সামগ্রী তুলে দেন । বল, জার্সি, বুট প্রভৃতি সামগ্রী পেয়ে শিশুদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

Berhampore Sports  এই ম্যাচ ও ক্রীড়া প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চলতে থাকে বাল্য বিবাহ এবং শিশুশ্রম বিরোধী প্রচার অভিযান। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়—খেলাধুলা যেমন শিশুদের বিকাশের পথ দেখায়, তেমনি বাল্য বিবাহ ও শিশু শ্রম তাদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেয়। এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশাসন বুঝিয়ে দিল—খেলাধুলা কেবল শরীরচর্চা নয়, তা সমাজ গঠনের হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করতে পারে। আগামী দিনে আরও এমন কর্মসূচি চালু করার কথাও জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।