Berhampore Politics: পরপর খুন। তার মাঝেই বড় চুরির ঘটনা। বহরমপুর শহরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদও।মঙ্গলবার মধ্যরাতে বহরমপুরে মোল্লাগেড়ের ধারের মতো একালায় খুন হন টোটোচালক কেয়াসিস শেখ । মাঝ রাতে মাঝ রাস্তায় গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় টোটোচালকের উপর। দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে Murshidabad Medical College Hospital নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের বাড়ি বহরমপুরেরই খাগড়া এলাকায়। আর এর রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দিনে দুপুরে ভয়ঙ্কর চুরির ঘটনা ঘটে বহরমপুর শহরের খাটিকতলায়। চুরির পরে আগুনও ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। পরিবারের দাবি খোওয়া গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তালা। তারপর আলমারি খুলে চলে লুট। চুরির পর আলমারিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
Berhampore Politics এর আগে ১৬ অক্টোবর সাত সকালে শ্যুট আউটের ঘটে ঘটে বহরমপুর থানারই রাধারঘাট এলাকায়। বহরমপুর থানার রাধারঘাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের Radharghat 1 Gram Panchyet নাথপাড়ায় প্রদীপ দত্ত নামের ওই জমি ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলিতে মৃত্যু ঘটে ওই ব্যবসায়ীর।জমি ব্যবসায়ী খুন, টোটো চালক খুন থেকে দুঃসাহসিক চুরি। বহরমপুরে পরপর ঘটনা নিয়ে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শহরের আইন শৃঙ্খলা কী ভেঙে পড়ছে ? প্রশ্ন করছেন শহরের নাগরিকদের একাংশ । যদিও এর মাঝেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে বিজেপির আশঙ্কা – নব্বই এর ক্যাসেট’এর পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বহরমপুরে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নেই।
Berhampore Politics -পরপর এই সব ঘটনা নিয়ে কী বলছেন নেতারা ?
Berhampore Politics বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, “টোটো চালকের খুনকে হালকা ভাবে দেখলে হবে না। বহরমপুর শহরে ক্রমশ নব্বইয়ের ক্যাসেটের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। খুন চলতেই থাকছে। মার্ডারের সিরিজ হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে”। শাখারভ সরকারের দাবি, শুধু খুন নয়। বারবার দুর্ঘটনা হচ্ছে। এর পিছনেও তৃণমূল দায়ী। তিনি বলেছেন, “প্রশাসন দুর্বল হলে জেলার অবস্থা আরও খারাপ হবে”। নয়েক দশকে একাধিক খুন, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী ছিল বহরমপুর শহর। বিজেপি ইঙ্গিত ফের সেদিকেই এগচ্ছে বহরমপুর।
Berhampore Politics বহরমপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “ সবাই এখন তৃণমূল। বহরমপুরের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। শহরে রাত্রে আগে ফ্লাইং স্কোয়াড টহল দিতো । কোথায় সেসব ?” ।কংগ্রেস নেতার দাবি, যেখানে খুন হয়েছে তার কাছেই জুয়া, মদের ঠেক রয়েছে। তাঁর দাবি, জমি ভরাট, সাট্টা জুয়ার বার বাড়ন্তের জন্যই এই সব ঘটনা বাড়ছে।যদিও বিজেপি, কংগ্রেসের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। পাল্টা বিরোধীদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস । জয়ন্ত দাস বলেছেন, “বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের মতো দলগুলোকে মানুষ বাতিল করে দিয়েছে। পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা করছেন। মানুষের ভরসা আছে পুলিশের উপর। যাদের প্রতি মানুষের ভরসা নেই তারা এসব বলছে”।তবে নেতারা যাই বলুন। পরপর অপরাধের ঘটনা সামনে আসায় উদ্বিগ্ন শহরের মানুষও।