Berhampore Philatelic exhibition বহরমপুরে ফিলাটেলির জগতে ‘ডাকের সাজ’! দেখা দিল ‘পেনি ব্ল্যাক’

Published By: Imagine Desk | Published On:

Berhampore Philatelic exhibition ঠিক যেন ডাকের সাজ। তবে এই ডাকের সাজ ঠাকুরের নয়! ডাক টিকিটের। অতীতের বহু ডাক টিকিট নিয়েই মেলা, প্রদর্শনী বসল বহরমপুরে টেক্সটাইল কলেজে। দেশ-বিদেশের ডাকটিকিট থেকে জেনে ফেলা যায় অজানা ইতিহাস। ডাকটিকিট জমানোর শখও থাকে অনেকের। সে সব মাথায় রেখেই বহরমপুর মুখ্য ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে পুরনো দিনের ‘ডাকটিকিট প্রদর্শনী’ শহরে। ডাকটিকিটের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকে ইতিহাস, ঐতিহ্য। চিঠিকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য, নাটক। শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশে মহত্মা গান্ধীর ছবি-সহ প্রকাশিত ডাকটিকিট সাজানো রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। মূল আকর্ষণ- পৃথিবীর প্রথম ডাক টিকিট ‘পেনি ব্ল্যাক’।

Berhampore Philatelic exhibition ডাক টিকিট সংগ্রহের এই নেশার শুরু কীভাবে? কীভাবে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ল এই নেশা? কীসের টানে? ইতিহাস বলছে- চিঠি থেকে খুলে নেওয়া ডাকটিকিট দিয়ে বাড়ির বসার ঘর সাজাতে টাইমস অব লন্ডন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন এক মহিলা। সেই শুরু ডাকটিকিট সংগ্রহের। জর্জ হারপিন ডাকটিকিট সংগ্রহের গ্রিক ভাষার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দিয়ে এর নাম দেন ‘ফিলাটেলি’। রাজা পঞ্চম জর্জ থেকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মিশরের রাজা ফারুখ, মোনাকোর রাজকন্যা তৃতীয় রেনিয়র, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, পিয়ানো প্রস্তুতকারক থিয়োডর ই স্টাইনওয়ে, চার্লি চ্যাপলিন থেকে জন লেনন— যুগে যুগে অজস্র নামী লোক জড়িয়ে গিয়েছেন ডাকটিকিট সংগ্রহের নেশায়। জড়িয়ে গিয়েছেন এরকম হাজারে হাজারে মানুষ।

Berhampore Philatelic exhibition বহরমপুরে  ডাক টিকিট সংগ্রাহকরা এই আয়োজনে সাড়া পেয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। ডাক টিকিট সংগ্রাহক সোমনাথ চৌধুরী জানান, প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ পলাশী পেক্স ২০২৪’। কলকাতার রিজিওন ডাক বিভাগের উদ্যোগে ডাক টিকিটের প্রদর্শনী দু দিনের। যেখানে ডাক ব্যবস্থার শুরু থেকে বর্তমান সময় অব্ধি ডাক টিকিট, পোস্ট কার্ড, ইংল্যান্ড লেটার, ডাক বিভাগ ইস্যু করেছিল তারই কিছু নমুনা এখানে তুলে ধরা হয়। সোনার ও রুপোর তৈরি বিভিন্ন দেশের ডাক টিকিট স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

ভারতের প্রথম সিদ্ধু ডাক টিকিটেরও দেখা মিলছে এই প্রদর্শনীতে। ডাক টিকিটের ইতিহাস থেকে ব্যবহার বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা। নতুন প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রীদেরও আগ্রহ বাড়াচ্ছে, উৎসাহ দেয় এই ধরনের প্রদর্শনী। শুধু তাই নয় প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাক টিকিট সংগ্রহ ও পুরনো মুদ্রার বিক্রিরও ব্যবস্থা থাকে এই প্রদর্শনীতে।