তখন ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যে ৮ টা। বহরমপুর শহরের মোহনা বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানিবাগান পেট্রল পাম্পে সামনের রাস্তায় চরম ব্যস্ততা। হঠাৎ পেট্রল পাম্পে ঢুকে পড়ল একের পর এক গাড়ি। কনভয় দেখে মূহুর্তে থমকে গেলেন পেট্রল পাম্পের কর্মীরা। থমকে গেলেন পথচলতি মানুষও। শুরু হল পেট্রল পাম্পে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’।
মেসার্স আগমআনন্দ সিনহা পেট্রল পাম্পে হানা বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি ফর কনজিউমার্স এফেয়ার্স অ্যান্ড কোঅপারেশনের টিমের । হাতে নাতে ধরা পড়ল পেট্রল পাম্পে “তেল চুরি”। একেবারে সিল করে দেওয়া হল পাম্প। দিনে দেড় হাজার লিটারেরও বেশি পেট্রল বিক্রি হয় ওই পাম্প থেকে। প্রতি দশ লিটারে ষাট মিলিলিটার থেকে নব্বই মিলিলিটার তেল চুরির অভিযোগ সামনে এল। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গেল ওই এলাকায়। স্থানীয় এক দোকানদার ব্যাখ্যা করে বলেই দিলেন, তবে প্রতিদিন দশ হাজার টাকার বেশি রোজগার হচ্ছল অসৎ উপায়ে ? অর্থাৎ দশ লিটার তেল পিছু প্রায় এক লিটার তেল চুরি হচ্ছিল ! তার মানে মাসে তিন লক্ষ টাকা আয় হচ্ছিল তেল কম দিয়ে !
এরকমও হয় ? পেট্রল পাম্পও তেল কম দেয় ? বাইক থামিয়ে এক যুবক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই পাশ থেকে জবাব এল, এই দুনিয়ায় সবই হয় । এই ঘটনা চাউর হতেই পেট্রল পাম্পে, পেট্রল পাম্পে দানা বাঁধছে সন্দেহ। সতর্ক সকলেই। সূত্রের খবর, বিধানসভার ওই টিম রাতে বহরমপুরেই থাকছে। বুধবার তবে হানা দেবেন কোন পেট্রল পাম্পে ? প্রমাদ গুণছেন অনেকেই । কী হবে ? দেখার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষও।