Berhampore News বহরমপুরের বানজেটিয়া এলাকায় বাড়িতে জুয়ার ঠেক বসানোর অভিযোগে গ্রেফতার এক তৃণমূল নেতা ও তার সাত সহযোগী। সোমবার রাতে বহরমপুর থানার পুলিশ জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে বানজেটিয়ার বাসিন্দা বলাই দত্ত যিনি মনীন্দ্রনগর প্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সদস্য ও মনীন্দ্রনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি, তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় বলে জানা যায়। বহরমপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এই অভিযান। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে, বহরমপুর থানা বলাই দত্তের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালীন, বলাই দত্ত সহ আটজন ব্যক্তিকে জুয়া খেলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজির টাকা হিসেবে আসর থেকে ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি নির্দিষ্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের বহরমপুর সিজেএম কোর্টে তোলা হয়।
Berhampore News সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার জানান, জুয়া খেলার অভিযোগে মোট আট জনকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে এসেছিল বহরমপুর থানা। তাদেরকে কোর্ট হেয়ারিং এর পর তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী শুক্রবার প্রোডাকশনের দিন ধার্য হয়েছে। ৩ ৪ গ্যাম্বলিং ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ২ লক্ষ টাকা নগদ টাকা, তাস উদ্ধার হয়েছে।’
Berhampore News এই ঘটনার পরেই তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। জুয়া কাণ্ডে গ্রেফতারির ঘটনায় গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। তীব্র কটাক্ষ প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘শহীদ দিবস মস্তি করার দিবস তো, তাই মদ খেতে হবে, জুয়া খেলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূলের নেতারা তাই করেছে। শহীদ দিবসে উৎসব করেছে, পুলিশ অ্যারেস্ট করেছে। জুয়ারি, মাতাল এদের নিয়েই তো দিদির সংসার।’
Berhampore News তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের বলেই অভিযোগ বিজপির । জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের লড়াই জেলায় সুন্দর ভাবে জমে উঠেছে। এটাই মানুষ দেখতে থাকবে। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যেভাবে কালকে বলাই চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছেন আপনাদের ধন্যবাদ। তৃণমূলের এখানে পাঁচটা গোষ্ঠী। একটা অঞ্চল সভাপতি, একটা প্রধানের গোষ্ঠী, একটা ব্লক সভাপতির গোষ্ঠী, একটার পেছনে আরেকটা নিজেরা নিজেরা দ্বন্দ্ব করছে। মজা লাগছে, আমরা দর্শকের ভূমিকায় দেখতে থাকি। ‘
Berhampore News যদিও গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গ উড়িয়েছেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার। তৃণমূল বললেই তৃণমূল হওয়া যায়না! পাল্টা তোপ জেলা সভাপতির। অপূর্ব সরকার বলেন, ‘ বিরোধীরা বিরোধীদের মতো বলবে। ধরেছে পুলিশ, ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। যারা তৃণমূল বলছে ২০২২ সালের পর আমরা এদেরকে পাইনি। ২৪ এর নির্বাচনেও পাইনি। সাংগঠনিক পরিবর্তন যেহেতু এখনও কিছু হয়নি তাই আগামী দিনে সেই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ দেখতে পাবে। বিগত নির্বাচনে এদের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তৃণমূল বললেই তৃণমূল হওয়া যায় না। এরা জামা পরে নেওয়া পার্টি, জামা পরেছিল কোন একটা সময়ে এখন আর গায়ের জামাটা নেই এটুকু বলে দিতে পারি।’