Berhampore Market Price বহরমপুর শহরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকেই শোনা যায় এই হাঁক। আসুন আসুন ভাত খেয়ে যান। পাশপাশি ডাল, সবজি থেকে বিরিয়ানি। আমাদের হোটেলে পাওয়া যায় সব কিছুই।
নিজেদের সাধ্য মতন গ্রাহক সেই সমস্ত হোটেলে খেতে যান। কিন্তু বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে কীভাবে চলছে এই হোটেলগুলি। খাবারের দাম বাড়িয়েছেন তারা ? কমবেশি এই সমস্ত প্রশ্ন উঠছেই। কারণ সারাদিন যারা বাইরে কাজ করেন বা ডাক্তার দেখানো থেকে যেকোনো কাজে বাইরে যাওয়া মানুষদের খাবারের হোটেলেই খেতে হয়। সবজি ভাত থেকে আমিষের যেকোনো পদ। সমস্ত পদ খাবারের হোটেলে পাওয়া যায়। কিন্তু আলু থেকে পেঁয়াজ সবকিছুরই দাম আকাশ ছোঁয়া। এই মত পরিস্থিতিতে কীভাবে চলছে তাদের ব্যবসা ? সেই বিষয়ে কী জানাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা ?
বহরমপুরের খাবার হোটেল ব্যবসায়ী শুভঙ্কর বিশ্বাস জানান, “বিগত কিছু মাস ধরেই আনাজপাতির দাম বাড়ছে। আলু ৩৫-৪০ টাকা কিলো । সব খাবারেই আলু ব্যবহার হয়। পেঁয়াজও তাই। কিছুদিন হল চাল, তেলের দাম বেড়েছে। এইভাবে চললে আমাদেরও দাম বাড়াতে হবে। কারণ আমরা ব্যবসা করছি নিজের পকেট থেকে দিতে পারব না”।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি বর্তমানে আলুর দাম প্রায় ৩৫-৪০ টাকা কিলো, পেঁয়াজ ৫০ টাকা। বাদবাকি সবজিরও একই অবস্থা। দাম বেড়েছে চাল থেকে ভোজ্য তেলের। তারপরেও ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা কি তার থেকেও বেশি দামে। ভেজ থালি বর্তমানে খাবারের হোটেলে পাওয়া যায়। কিন্তু এইভাবেই দাম আনাজপাতির দাম বাড়লে সেখানেও ১০-১৫ টাকা হারে দাম বৃদ্ধি পাবে বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ীরা। এখনও পুরনো রেটেই গ্রাহকদের খাবার দিচ্ছেন তারা। সমস্যায় পরতে হচ্ছে না গ্রাহকদের। কিন্তু এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কী ভাবছেন সাধারণ গ্রাহকরা ?
দুপুরে ক্লাস শেষে খেতে এসেছিলেন পূর্বালি ভকত তিনি জানান, “আমি দীর্ঘদিন ধরে হোটেলে খাই। এখনও দাম বাড়েনি তাই সুবিধা হয়। এবার যদি হোটেলওয়ালারা দাম বাড়াই তাহলে কিছু করার নেই। কারণ তাদের এটা ব্যবসা। আর যেভাবে দাম বৃদ্ধি হচ্ছে সব জিনিসের তাতে ওনারাও বাড়াতে বাধ্য”।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বৈঠক করেন বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন সরকারি আধিকারিকরাও। বৈঠক থেকে ব্যবসায়ীদের কড়া সতর্কতা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দেন, বর্ডারে করতে হবে নাকা চেকিং। আলু পেঁয়াজের দামে এদিন বেজায় চটলেন মমতা। দিলেন পুলিশ প্রশাসনকে দিলেন কড়া নজরদারির নির্দেশ। ১০ দিনের মধ্যে বাজারের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদেও কাজে দেবে এই বার্তা ? সেটা এখন সময় অপেক্ষা।