Berhampore Manobikshan দেখতে দেখতে মনোবীক্ষণ পার হয়েছে ১১ টা বছর। মানসিক সুস্থতার অন্যতম সেরা ঠিকানা মানেই বহরমপুর মনোবীক্ষণ। সেবার এই মূল ভাবনাই উঠে এল সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে মনোবীক্ষণের বার্ষিক অনুষ্ঠানে। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের স্বামী বিশ্বময়ানন্দ মহারাজ।
মনোবীক্ষণ মানে সুস্থ শরীর ও মনের ঠিকানা। সেখানেই কত মানুষ শান্তি খুঁজে পেয়েছে। ২০১৩ সালের ১লা মার্চ পথচলা শুরু করেছিল মনোবীক্ষণ । দেখতে দেখতে ১১টা বছর পার হয়ে গিয়েছে। জন্মদিন ৩ মাস আগে হয়ে গেলেও প্রতি বছরই বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ১লা জুলাই ডক্টরস ডে-তে। এবার রবীন্দ্রসদনে বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জন্মদিবস উদযাপনে মনোবীক্ষণের সদস্যরা। সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন করেন মনোবীক্ষণের সদস্যরা। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার আন্দোনকে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয় এই অনুষ্ঠান থেকে।
মনোবীক্ষণের কর্ণধার ডাঃ অরুণিমা চ্যাটার্জি জানান, “ মনোবীক্ষণ মানেই শরীর এবং মন দুটোই একসাথে। কারণ সুস্থ মনের ঠিকানা মনোবীক্ষণ। তাই মনোবীক্ষণ নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ১১ বছরে পা দিয়েছে”।
এদিন শুধু বার্ষিক অনুষ্ঠানই নয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সম্মানিত করা হল অনুষ্ঠান থেকে। বহরমপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বরূপ সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী চন্দ্রানী সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জিত রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য চিকিৎসকদের চিকিৎসক দিবসে সংবর্ধনা জানান হল মনোবীক্ষণের পক্ষ থেকে।
মনোবীক্ষণের আরেক কর্ণধার ডাঃ রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, “বিগত প্রায় ১১ বছর আমাদের পথ চলা অতিক্রান্ত। ২০১৩ সালের ১লা মার্চ আমাদের পথ চলা শুরু করেছিলাম। আমরা সবাই এই জেলার মানুষ ছিলাম না। কর্মসূত্রে এই জেলার সঙ্গে জুড়ে যায়। এখানে এসে যেটা বুঝলাম মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখানকার মানুষের সচেতনার অভাব রয়েছে। আধুনিক মানসিকতা যেমন হওয়া উচিত তার সঙ্গে বাস্তবের মাটিতে বিস্তর ফারাক”। এদিন অনুষ্ঠান থেকে উঠে এলো মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা।