Berhampore Incident শীতের মরশুমে উত্তরাখন্ড থেকে মুর্শিদাবাদে বাড়ি আসে দুই বোন। আনন্দের দিন কাটিয়ে বোনেদের ফেরার পালা। বুধবার রাতে দুই বোনকে সাথে নিয়ে স্টেশনে যান দাদা। কথা ছিল হাওড়া অবধি যাবেন। কিন্তু সেই কথা আর রাখা হল না! ট্রেনে চড়েও যান সকলে। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! প্ল্যাটফর্মে কিছু জিনিস ভুলে যাওয়ায় তড়িঘড়ি সেই জিনিস নিতে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে যান দাদা। আর তখনই ঘটে গেল চরম বিপদ। ট্রেন থেকে নামার সময় পা ফস্কে ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝে পা আটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল দাদার। বুধবার রাতে বহরমপুর সংলগ্ন খাগড়াঘাট রোড রেলওয়ে স্টেশনে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি। দুর্ঘটনাকে ঘিরে হইচই পড়ে যায় স্টেশন চত্বরে। ছুটে আসেন প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীরা। আসে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Berhampore Incident হরিহরপাড়ার গোবরগাড়া এলাকার বাসিন্দা ইনামুল মণ্ডল। তিনিই তাঁর দুই বোনকে ট্রেনে তুলতে যান খাগড়াঘাট স্টেশনে। সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চেন টেনে ট্রেন রোখা গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাদাকে বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন এক বোন। সেও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি। মৃতের এক আত্মীয় মাইনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ” ট্রেনে ছাড়তে গিয়েই ঘটে গেল দুঃখজনক ঘটনা। মরশুমের সময় আইসক্রিমের ব্যবসা করতেন ইনামুল। অন্যান্য সময় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। দুই মেয়ে এক ছেলে, স্ত্রী রয়েছে সংসারে। দিন পনেরো হল দাদুও হয়েছিলেন ইনামুল।”
Berhampore Incident ইনামুলের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পরেন আত্মীয় সজনেরা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন ইনামুল। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।