Berhamporer Hawkers : এক মাসের নোটিশে স্বস্তি নেই বহরমপুরের হকারদের। ২৪ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Mamata Banerjee পৌরসভা এলাকায় হকার উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও ২৭ জুন সুর নরম করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হকার উচ্ছেদ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে Nabanna প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এক মাসের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।’’
তবে এই সিদ্ধান্তে হকারদের মধ্যে সংশয় ও চিন্তা বেড়েছে। ২৪ জুন মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তায় জানিয়েছিলেন যে, হকারদের ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করা হবে। সেই নির্দেশ অনুসারে, মুর্শিদাবাদ জেলার পৌরসভা ও প্রশাসন রাস্তায় নেমে হকারদের ফুটপাত দখল মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু এরপর নবান্নের সভাঘরে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, এখনই নয়, হকার সমস্যার সমাধান ও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে এক মাস সময় দেওয়া হবে। এতে নরম হয় প্রশাসনও। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, শুরু হয়েছে সার্ভে।
যদিও হকারদের জন্য এই এক মাসের সময়সীমা যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বহরমপুরের হকার সন্দীপ দাস বলছেন , “কীভাবে সম্ভব? আমরা আমাদের জীবিকা কীভাবে চালাবো? সরকার আমাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে ব্যবসা করবো কোথায় ? ” ফুটপাত দখল মুক্ত করার প্রক্রিয়া শহরের হকারদের জীবিকা সংসার চালানোর উপর বিশাল প্রভাব ফেলছে। এই রাস্তায় ব্যবসা করে এনারা নিজেদের সংসার চালান। এই অবস্থায় হকার উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে গভীর চিন্তায় রয়েছেন শহরের হকাররা। বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি জানিয়েছেন, “আমরা চেষ্টা করছি এক মাসের মধ্যে ফুটপাত দখল মুক্ত করে হকারদের জীবিকা টিকিয়ে রাখার একটি রূপরেখা তৈরি করতে।” প্রশাসনের সঙ্গে হকারদের প্রতিনিধি দলও আলোচনা করে একটি বাস্তবসম্মত সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
হকারদের দাবি, তাঁদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তাঁরা তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। অন্যথায় তাঁদের জীবিকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এই সিদ্ধান্ত ও প্রক্রিয়া কতটা কার্যকরী হবে তা এখন সময়ই বলবে। হকারদের দাবী , তাঁদের জীবিকার সুরক্ষার জন্য প্রশাসনকে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এক মাসের সময়সীমা শেষে কী হবে, তা নিয়ে শহরের হকারদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।