Berhampore Footpath বহরমপুরে ফুটপাত দখল মুক্তের নির্দেশ প্রশাসনের। রাস্তায় নেমে ব্যবসায়ীদের শ্তর্ক করলেন পুলিশ কর্তা থেকে পৌরপিতা। বুধবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের (Berhampore) বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের শতর্ক করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশের পরেই ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। নবান্নের বৈঠক থেকে গত সোমবার মমতার নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার থেকে ‘অপারেশন’ শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বহরমপুর পৌরসভা এলাকাতেও পথে নেমেছে পৌরসভার আধিকারিক থেকে পুলিশ আধিকারিকেরা। এদিন সন্ধ্যায় কান্দি বাসস্ট্যান্ড, কল্পনা মোড়, জলট্যাঙ্ক মোর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের শতর্ক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
অ্যাডিশনাল এসপি ট্রাফিক সৌম্যজিত বড়ুয়া জানান, “ফুটপাতে যেখানে মানুষের যাওয়া আসার সমস্যা হচ্ছে। সেই জায়গাগুলিতে আমরা জোর দিচ্ছি। এইগুলো সমস্ত এমার্জেন্সি রাস্তা। এইসব রাস্তায় যাতে মানুষের চলাচলের সমস্যা না হয়। তাই আমরা গিয়ে গিয়ে দোকানদারদের বলছি”।
বহরমপুরের জনবহুল এলাকায় গুলিতে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে এবং জানজট মুক্ত করতে এদিন ব্যবসায়ীদের শতর্ক করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পৌরসভার চেয়ারম্যান।
বহরমপুর পৌরসভার (Berhampore Municipality) পৌরপিতা নাড়ুগোপাল মুখ্যার্জী জানান, “বহরমপুর শহরের হকাররা এখানকার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা সামঞ্জস্য রেখে ব্যবসা করবে। কিন্তু তাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো রাস্তা যাতে না আটকায় পাশাপাশি একটি বিকল্প জায়গা যেখানে যানবাহনের সমস্যা নেই। সেখানেই তাদের ব্যবসা করতে হবে”।
এর আগেই একাধিকবার দেখা গিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান। কিছুদিনের মধ্যেই সেই দখলের ছবিও উঠে এসেছে। নতুন করে এই নির্দেশে আদেও দখল মুক্ত হবে কী ফুটপাত । প্রশ্ন শহরবাসীর।
যদিও ফুটপাত ‘দখলদার’দের এক মাস সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। নবান্নের সভাঘরে বৃহস্পতিবারের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এক মাস উচ্ছেদ আপাতত হবে না ।