Berhampore Bhaifota থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝেই ভাইফোঁটার আনন্দ বহরমপুরে

Published By: Imagine Desk | Published On:

Berhampore Bhaifota যাদের লড়াই থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে সেই ফুলের মতো শিশুদের সঙ্গে ভাইফোঁটার আনন্দ ভাগ করে নিল শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগার । শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের সদস্যরা জানান, এই সংস্থা গত ২৫ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়া Thalassemia আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রতি বছর ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসবের আয়োজন করে আসছে। রবিবার গোরাবাজারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রায় ৫০ জন শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হন। ভাইফোঁটার এই উপলক্ষে দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খাওয়া দাওয়া ও আনন্দের মাধ্যমে কাটে দিনটি।

 

থ্যালাসেমিয়া হলো একটি জেনেটিক রক্তরোগ, যেখানে শরীর ঠিকভাবে হিমোগ্লোবিন Hemoglobin তৈরি করতে পারে না। হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অক্সিজেন পরিবহণে সাহায্য করে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে রক্তস্বল্পতার কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণত, এই রোগের কারণে রোগীদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন পড়ে এবং জীবনযাত্রা অনেক ক্ষেত্রেই বিপর্যস্ত হয়।

Berhampore Bhaifota শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের সম্পাদক নিলেন্দু সাহা অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে তারা নিজেদের উপভোগ করতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হলো তাদের জীবনে একটু আনন্দ যোগ করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা।”

Berhampore Bhaifota এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আক্রান্ত শিশুদের জন্য মানসিক সমর্থন প্রদান করা।

উৎসবে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত অভিভাবক নিহার সাহা জানান, “এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের সন্তানরা এই আনন্দের মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে, যা তাদের মনোবলকে আরও শক্তিশালী করবে। থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের একত্রিত হতে হবে এবং সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে।”

Berhampore Bhaifota এছাড়াও, অনুষ্ঠানে চিকিৎসক এবং থ্যালাসেমিয়া বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন, তারা বলেন, “থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনযাত্রা উন্নত করা সম্ভব। এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।” এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের এ আয়োজন শুধু আনন্দের নয়, বরং সচেতনতা ও সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে কাজ করছে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এই উৎসব অব্যাহত থাকবে।