Berhampore শহর বহরমপুরে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ ট্যাঙ্ক! কী ঘটতে চলেছে?

Published By: Imagine Desk | Published On:

Berhampore মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার ঠিক আগের দিন রবিবার রাতেই বহরমপুর শহরের বুকে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটল। এমন কিছু যা প্রথমবার দেখল এ শহর। ঘটল কী? শহরের অতিথি হয়ে এসে হাজির হল একটি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক! শুনে অবাক লাগারই কথা। যুদ্ধ জাহাজ বহরমপুরে? কারণ কী? হাজারো প্রশ্ন, কৌতূহল নাড়াচাড়া দেয় শহরবাসীর মনে। ব্যারাক স্কোয়ারের মতো ঐতিহাসিক স্থানে ক্রেন দিয়ে বিশাল এই ট্যাঙ্কটিকে নামানো হয় কোর্ট বাজার সংলগ্ন এলাকায়।  ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র আছে কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন ওঠে।

Berhampore  তবে সোমবার সকালে সমস্ত জল্পনার অবসান করে জেলা প্রশাসন। জানানো হয়, এটি কোন নিরাপত্তা বিষয়ক পদক্ষেপ নয়! বরং ব্যারাক স্কোয়ারের সৌন্দর্যায়নের অঙ্গ হিসেবেই ভিন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর বাতিল হয়ে যাওয়া  টি-৭২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক আনা হয়েছে। ঐতিহাসিক ব্যারাক স্কোয়ারের গুরুত্বকে ধরে রাখতেই মাঠের চার পাশে চারটি কামানের পাশেই এই ট্যাঙ্ক রাখা হবে।

Berhampore  একটা সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিল  টি-৭২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক । আজ বাতিলের খাতায় হলেও বহু ঘটনার সাক্ষী এই যুদ্ধ ট্যাঙ্ক। কী কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিল এই  টি-৭২ ট্যাঙ্ক? বৈশিষ্ট কী?  

 

Berhampore টি-৭২ একটি সোভিয়েত নকশার প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক (Main Battle Tank)। এটি মূলত সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৯৭০-এর দশক থেকে এটি বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টি-৭২ হল একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ট্যাঙ্ক যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ করতে সক্ষম।

Berhampore টি-৭২ এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট-

Berhampore  শক্তিশালী অস্ত্র –  টি-৭২ একটি ১২৫ মিমি স্মুথবোর বন্দুক (Smoothbore gun) দিয়ে সজ্জিত, যা এটিকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর যুদ্ধযান করে তুলেছিল।

Berhampore বর্ম –   টি-৭২ এর বর্ম ছিল উন্নত, যা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করত। .

Berhampore নদী পার হওয়ার ক্ষমতা-  টি-৭২ একটি স্নোরকেল ব্যবহার করে ১৬ ফুট গভীর পর্যন্ত নদী অতিক্রম করার ক্ষমতাও রাখত।

Berhampore ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড-  ভারত ২,৪০০-  টি-৭২ ট্যাঙ্ক পরিচালনা করে, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া বাহিনীর মেরুদণ্ড। টি-৭২ বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এটি একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধযানের উদাহরণ।

Berhampore   ইতিহাস ও আধুনিকতার এক মেলবন্ধনের সাক্ষী নবাবি শহর।  বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ারের ইতিহাস সুপ্রাচীন ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভাগীরথীর পূর্বতীরে এটি শুধু বর্গাকার মাঠ নয়! এই মাঠ বহরমপুরবাসীর ফুসফুস। ৪০ একর জায়গার সবুজ প্রান্তর বহু ইতিহাসের সাক্ষী।  মাঠের চেহারা বদলেছে। ব্যারাকেরও আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সেনা নিবাসও আজ নেই। এসবের মাঝে আজও ইতিহাস এখানে কথা বলে। সুবা বাংলার নতুন সেনানিবাস হিসেবে ১৭৬৭ সালে প্রায় ৪০ একর এলাকা নিয়ে এই মাঠকে ঘিরে ব্যারাক স্কোয়ারের পত্তন হয়। ১৮৫৭ সালে এখানে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই ঐতিহাসিক মাটিতেই এবার স্থাপিত হল যুদ্ধ ট্যাঙ্ক।