নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ এস্কিমোদেশের ছোট্ট বোট বা নৌকা ‘কায়াক’। এই নৌকা নিয়ে প্রতিযোগিতা একটি জনপ্রিয় খেলা, যা কায়াকিং নামে পরিচিত। এই কায়াকিং করেই মুর্শিদাবাদের আহিরন ঘাট থেকে বহরমপুর কলেজ ঘাটে এসে পৌঁছাল একাকী কায়াকার সুদেষ্ণা পাল। তিনি একাধারে সাঁতারুও।
নদী বাচলে তবেই বাঁচবে নদী পাড়ের মানুষ। এই সচেতনতা নিয়ে নদীবক্ষে চারশো কিলোমিটার কায়াকিং করছেন দমদমের বাসিন্দা সুদেষ্ণা। কায়াকিং শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের আহিরণ ঘাট থেকে। গন্তব্য কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুদেষ্ণার কায়াক বোট এসে পৌঁছায় বহরমপুর কলেজ ঘাটে। একক কায়াকিং করে বহরমপুরে গোরাবাজার কলেজ ঘাটে পৌঁছনোর সাথে সাথেই সুদেষ্ণাকে স্বাগত জানান হয় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বহরমপুর বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষে। সাথে ফুল ছিটিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান বহরমপুর বিজ্ঞান কেন্দ্র ও জলাভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরাও।
কায়াকার সুদেষ্ণা জানান, “কায়াকিং করে ৪০০ কিলোমিটার নদীপথে যাব। এ পর্যন্ত আসতে গিয়ে দেখলাম, গ্রামের থেকে শহরে নদী দূষণের প্রবণতা বেশি। তাঁদের সচেতন করার জন্যই আমার এই যাত্রা। নদীকে যেন আমরা বাঁচিয়ে রাখি, তবেই বাঁচবে নদী পাড়ের মানুষ।” পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বহরমপুর বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক সুর্বণা নাথ জানান, “সুদেষ্ণার উদ্যোগ একটি সামজিক উদ্যোগ, প্রকৃতির জন্য কাজ করে। নদী বাঁচানোর বার্তা নিয়ে এতটা রাস্তা কায়াকিং করা সহজ না।”
এদিন ভাগীরথী তীরে সুদেষ্ণার একক কায়াকিং দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। ১২ই ডিসেম্বর কায়াকিং করে কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে পৌঁছাবে সুদেষ্ণা পালের কায়াকিং সফর।