Bengal STF বহরমপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে শাদিক সুমনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিল রাজ্য পুলিশের STF। সোমবার বহরমপুর সিজেএম কোর্টে হেফাজতে চেয়ে বেঙ্গল এবং অসম এসটিএফ— দু’তরফই আবেদন করে। বিচারক বেঙ্গল এসটিএফের আবেদন মঞ্জুর করেন। তারিকুলের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে তারিকুলকে হেফাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন করে অসম পুলিশের STFও। তবে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হেফাজতে থাকায় অসম পুলিশের আবেদন আপাতত বিবেচনা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
Bengal STF রাজ্য পুলিশের এসটিএফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বহরমপুর সিজিএম কোর্টে তোলা হয় তারিকুল ইসলাম ওরফে শাদিক সুমনকে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের পক্ষ থেকে আগেই তারিকুলকে হেফাজতে চাওয়া হয়। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি কোর্টে তোলার ক্ষেত্রে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এদিন জেলবন্দি জঙ্গি তারিকুল ইসলাম ওরফে শাদিক সুমনকে হেফাজতে চাইলেও যেহেতু বেঙ্গল এসটিএফ আগেই আবেদন করে তাই খালি হাতে ফিরতে হল অসম এসটিএফকে।
Bengal STF রাজ্য পুলিশের STF সূত্রে জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়কাণ্ডে জড়িত একাধিক জঙ্গি – রাজ্যে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ছড়ানোয় যুক্ত। রাজ্যে নাশকতার পরিকল্পনাও ছিল এই জঙ্গিদের।
আড়ও পড়ুন- Murshidabad বহরমপুরে জেলে থেকেই নাশকতার ছক! খাগড়াগড়ের Khagragarh Terrorist ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে হেফাজতে নিল STF!
Bengal STF উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তারিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলা থেকে। তারিকুল বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে Berhampore Central Jail ছিলেন। সম্প্রতি হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অনুমান, ধৃতেরা এবিটি-র সদস্য। আব্বাসের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে সম্প্রতি আব্বাস এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, জেলবন্দি থাকার সময়েই তারিকুল, আব্বাসের মাধ্যমে হরিহরপাড়া-নওদা এবং মুর্শিদাবাদের বাকি অংশে জঙ্গি সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা করেন। তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হয় অসম এসটিএফ। একই মামলায় তদন্ত করছে বেঙ্গল এসটিএফ-ও।