Beldanga News আফ্রিকার “সোনালি বাঁদর” বেলডাঙায়! পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৬

Published By: Imagine Desk | Published On:

Beldanga News   রাতের অন্ধকারে ছিল পাচারের ছক। খাঁচায় ভরে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল আফ্রিকার “গোল্ডেন মাঙ্কি” Golden Monkey বা “সোনালি বাঁদর”। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বেলডাঙা থানার পুলিশ। তাতেই শেষ রক্ষা হল না পাচারকারিদের। উদ্ধার করা হল চারটি সোনালি বাঁদরকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জন পাচারকারীকে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর।

Beldanga News পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বেলডাঙা থানার পুলিশ ভাবতা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়  ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি গাড়ি আটক করে। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই  সন্দেহ হয় পুলিশের। শুরু হয় জেরা। এরপরেই গাড়ি দুটি থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি মুখবন্দ বস্তা। সেই বস্তা খুলতেই দেখা যায় বন্দি অবস্থায় চারটি বাঁদর। পরে জানা যায় সেগুলি  “গোল্ডেন মাঙ্কি”  বা সোনালি বাঁদর।  আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলির দাম আনুমানিক কোটি টাকার উপর। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মিঠু দাস, টিটু দাস, সামিল হোসেন, রফিকুল মণ্ডল, হাসিবুল মণ্ডল এবং বিশ্বজিৎ বাগ নামে ৬ জনকে।  

Beldanga News বেলডাঙার এসডিপিও  উত্তম গড়াই  জানিয়েছেন, এই “গোল্ডেন মাঙ্কি” রায়গঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আন্তজার্তিক পাচার চক্রের সাথে যুক্ত ধৃতরা। ধৃত ৬ জনের মধ্যে নদীয়ার বাসিন্দা মিঠু দাস। মিঠুই এই পাচারচক্রের পাণ্ডা। ৭ দিনের হেফাজতে চেয়ে শনিবার বহরমপুরে জেলা আদালতে পাঠানো হয় ধৃতদের। 

Beldanga News উল্লেখ্য,  গোল্ডেন মাঙ্কি বা সোনালি বাঁদর নীল বানরের একটি উপ প্রজাতি। মূলত, মধ্য আফ্রিকায় এই সোনালি বাঁদর দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে এই চারটি বাঁদর বাংলায় এল? রায়গঞ্জেই বা এসে পৌঁছাল কীভাবে?  কোথায় পাচার করার টার্গেট ছিল? ওই প্রাণীগুলিকে কি সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশ পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল? উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  উদ্ধার হওয়া সোনালি বাঁদরগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।