নিজস্ব সংবাদদাতা, বড়ঞাঃ বাঙালি বাড়িতে সব পদেই হাজির থাকে আলু। আলুর দমই হোক, কিংবা মাছ, মাংস; আলুর উপস্থিত সব পদেই। তবে এবার আলু চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লক ‘আলু বেল্ট’ নামে পরিচিত। এই ব্লকে প্রায় সাত হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। তবে এই বছরে চাষ করে লাভ পাবেন না আশঙ্কায় জেলার আলুচাষিরা।
গত পাঁচ দিন ধরে জেলায় জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে চাষ জমি। তাপমাত্রার পারদ নামছে। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে আলুর গাছ। আলু পরিণত হবার আগেই মাঠ থেকে তুলে নিতে হচ্ছে অপরিণত আলু। বড়ঞার আলু চাষিরাও এই কুয়াশার জেরে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বড়ঞা আলু চাষি নুর হক জানাচ্ছেন, “মাঠে কুয়াশার জেরে নষ্ট হচ্ছে চারা। সব নষ্ট হবার আগে যে’কটা আলু পাওয়া যায় তা তুলে নিতে হবে। নইলে লাভ তো পরের কথা চাষের খরচই উঠবে না।”
বড়ঞা ব্লকে প্রতিবছর প্রায় ৬ থেকে ৭ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেন চাষিরা। গত কয়েক দিনে কুয়াশার দাপটে মাঠে মারা যেতে বসেছে আলু। একদিকে যেমন গাছে রোগ পোকার আক্রমণ বেড়েছে অন্যদিকে আলুর ফলনও কম হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে আলু চাষিদের। ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে এখন সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে আলু চাষিরা। বড়ঞার আলু চাষি আরফত সেখ জানিয়েছেন, “ধান চাষে ক্ষতির মুখে পরে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলাম। তবে সেই আলুতেও লোকসান হওয়ায় এখন কাহিল অবস্থা।”
আলুর ফলন যা হয়েছে তাতে খরচও উঠছে না বলেই দাবি বড়ঞার আলু চাষিদের। এ বছর ধান চাষেও মেলেনি লাভ। ধ্বসার প্রকোপে নষ্ট হয়েছে ধান। তারপরে আলুতেও মিলবে না লাভ আশঙ্কা চাষিদের। আলু চাষে এই ক্ষতির ফলে বাজারে দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সবজি বিক্রেতাদের।