Banglar Bari বাড়ির টাকা অন্য কাজে খরচ নয়! উপভোক্তাদের বোঝাতে শিবির হল Kandi কান্দিতে

Published By: Imagine Desk | Published On:

Banglar Bari বাংলা বাড়ি ‘Banglar Bari Scheme’ প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বাড়ির টাকা যেন অন্য কাজে খরচ না করেন উপভোক্তারা! সেটা বোঝাতেই হল সচেতনতা শিবির। কীভাবে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা খরচ করে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে তা নিয়ে উপভোক্তাদের সচেতন করল কান্দি ব্লক প্রশাসন। শনিবার কান্দির হ্যালিফক্স ময়দানে কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, বিডিও শ্রী কুমার ভট্টাচার্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কান্দি ব্লকের আবাসের উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ৫৬ হাজার পরিবারকে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। কান্দি ব্লকে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন প্রায় ১৭০০ উপভোক্তা। পাশাপাশি  কান্দি ব্লকেরই প্রায় সাড়ে ৫ হাজার উপভোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন যাদের বাড়ি নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে  ১৭০০ জনকে  শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে।

Banglar Bari কান্দির বিধায়ক কী জানালেন?

Banglar Bari কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাংলায় প্রকৃত গৃহহীন ১২ লক্ষ মানুষকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছেন। ২০২৫ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ২৮ লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়া হবে। তার মধ্যে  প্রথম কিস্তির টাকা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিয়েছেন। সমস্ত উপভোক্তাদের আজকে ডাকা হয়েছিল শংসাপত্র দেওয়ার জন্য।

কাটমানি প্রসঙ্গ উস্কে এদিন বিধায়ক আরও বলেন, ” কেউ কোথাও যদি সহযোগিতার নাম করে, সেই যত বড় মাপের নেতা হোক, যাই হোক- কেউ যদি এক কাপ চা খেতে চায় আমাকে বলবেন, আমরা নিশ্চিত তার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর FIR করব। আপনার বাড়ি আপনি তৈরি করুন, আপনার পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে ।”

Banglar Bari সচেতনতা শিবির প্রসঙ্গে বিডিও বলেন-

Banglar Bari কান্দির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক BDO শ্রী কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ” বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যারা টাকা পাচ্ছেন তারা যাতে সঠিক ভাবে টাকা ব্যবহার করেন, এই টাকা দিয়ে অন্য কোন কাজ না করে ফেলেন! এই টাকা যে বাড়ি বানানোর জনই দেওয়া হয়েছে -এটা বোঝানো হয়। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে যাতে নতুন টাকা নিতে পারেন এবং পরবর্তী ৪০ হাজার টাকা যেটা পাবেন সেটা যাতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শেষ করতে পারেন, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে যাতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যবহার করতে পারেন বাড়ি বানানোর জন্য।”

বিডিও আরও জানান, ” পরবর্তীতে পি ডবলু এল স্তরে Permanent Wait List ( PWL) যারা রয়েছেন তারাও যাতে টাকাটা পেতে পারেন সময় মতো, সেটা বোঝানোর জনই আজকের এই মিটিং করা এবং সমস্ত জনপ্রতিনিধি, সমস্ত আধিকারিক সবাইকে নিয়ে এই মিটিং হল। যাতে এক জায়গায়, একসাথে একই রকম কথা সবার মধ্যে প্রচারিত হয়।”

Banglar Bari সচেতনতা শিবিরে অংশ নিয়ে শংসাপত্র হাতে পেয়ে এদিন স্বস্তি পান উপভোক্তারাও।