Bangladesh issue Ranitala case বাংলাদেশের Bangladesh অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই ফের ফসল নষ্টের অভিযোগ! অভিযোগ বাংলাদেশী দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের রানীতলা থানার অন্তর্গত উত্তর নির্মল চরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, সীমান্তের চরে চাষের জমি দেখভালের কাজে গিয়ে বাংলাদেশী দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন ভারতীয় দুই আগোলদার। বুধবার দুপুরে মাঠে কাজ করার সময় তাদের উপর বাংলাদেশের দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় দুই আগোলদার মাসাদুল শেখ ও মুক্তার সেখকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে Murshidabad Medical College & Hospital ভর্তি করা হয়। মাসাদুল সেখ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুক্তার সেখ। দুজনেই চর কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা।
Bangladesh issue Ranitala case আহত মুক্তার সেখের ছেলে কী জানালেন?
আহত মুক্তার সেখের ছেলে কায়েম সেখ বলেন, “লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিএসএফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উদ্ধার করা হয় দুজনকে। জমিতে রয়েছে খেসারী, কলাই। গরু, বাছুর দিয়ে সেই ফসল খাইয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় মারধর করে বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ জন দুষ্কৃতি।”
Bangladesh issue Ranitala case নির্মল চরে যান ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার। কী বললেন?
Bangladesh issue Ranitala case ঘটনার পর বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে সীমান্তে বিএসএফের সাথে কথা বলেন ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার। কথা বলেন স্থানীয়দের সাথেও। তিনি বলেন, ” সমস্যা জানার পরেই বর্ডার আউট পোস্টের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। নির্মল চর ক্যাম্পের আউটপোস্ট নিয়ে কথা হয়। সকাল থেকেই ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পিলারের সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জিরো পয়েন্টে যেতে রাজি আছি। চাষবাসের অবস্থা, কী কী প্রতিকূলতা রয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।”
Bangladesh issue Ranitala case ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত হলেও অনেক জায়গায় নেই ফেন্সিং। চর লবনগোলা থেকে মদনঘাট- প্রায় ১৬ কিমি বিস্তৃত। এখানে নেই ফেন্সিং এর কাজ। এলাকাবাসীদের দাবী, দ্রুত ফেন্সিং এর কাজ করতে হবে।
Bangladesh issue Ranitala case উল্লেখ্য, গত ৬ ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএফ Border Security Force এর তরফে মুর্শিদাবাদের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের সমস্ত জায়গা বর্ডার আউট পোস্ট- জিরো পয়েন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতদিন, জিরো পয়েন্ট থেকে অনেকটা ভেতরে ডিউটি পয়েন্ট থেকেই সীমান্তে নজরদারি চালাতেন জওয়ানরা। সেক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল- বিএসএফ অনেকটা ভেতরে মোতায়েন থাকায় সুযোগ নিত বাংলাদেশী কৃষকরা। বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতিরা এসে ফসল কেটে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ। তারপরেও সামনে এল একই অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় আগামী দিনে! উঠছে এই প্রশ্ন।