Bangladesh Border মুর্শিদাবাদের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এবার জিরো পয়েন্টে থেকেই পাহারা দেবে বিএসএফ BORDER SECURITY FORCE । বাংলাদেশের Bangladesh রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমশ অস্থিতিশীল হচ্ছে। এর মাঝেই নয়া সিদ্ধান্ত নিল বিএসএফ। এতোদিন জিরো পয়েন্ট থেকে চার, পাঁচ কিলোমিটার দূরে চেক পয়েন্ট করে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছিল বিএসএফ। চেক পয়েন্টে পরিচিতি পত্র দেখিয়ে কৃষকরা সীমান্ত লাগোয়া চাষের জমিতে চাষ করতে যেতেন। বিকেলেই আবার ফিরে আসতে হতো। কৃষকদের আশা, এবার আর চেক পয়েন্টে তল্লাশির প্রয়োজন থাকবে না। তবে এর পিছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বদলে যাওয়া পরিস্থিতিও রয়েছে বলে দাবি করছে অনেকে ।
Bangladesh Border বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত ?
পাঁচই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশিরভাগ সময় সচল থাকলেও, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং জনসাধারণের মধ্যে সম্পর্কের বড় অবনতি দেখা গেছে।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, অত্যাচার ঘিরেও তৈরী হয়েছে বিতর্ক। এছাড়া, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকারী ছাত্রনেতা এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর কাছ থেকে ভারত যে বার্তা পেয়েছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
Bangladesh Border পাল্টাপাল্টি বিবৃতি এবং বক্তব্যও আসছে দুই দেশের মধ্যে। এ পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং তার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর থেকে চলা সহিংসতা ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এর মাঝেই এই সিদ্ধান্তের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।ভারতের দাবি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ভারত বিরোধী একটি অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে, যা সম্প্রতি সেভেন সির্স্টার্স (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য) লক্ষ্য করে বক্তব্য ও হুঁশিয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে উদ্বেগ এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
Bangladesh Border শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানীনগরে চর রাজাপুর সীমান্তে ৭৩ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বিএসএফের মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা জানান, “ চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে এগিয়ে দেওয়া হল। কৃষকদের সুবিধা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ, যাতে তারা কৃষিকাজে সময় পান। কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও নজর রাখা হবে।” তিনি আরও বলেন, ” ফারাক্কা থেকে জলঙ্গি, লালগোলা থেকে রানানগর- মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েই এই পদক্ষেপ। কৃষকদের সমস্যা এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ডমিনেশন লাইন – জিরো লাইনে সরে গেল। এতদিন বিএসএফ সীমানার ভেতরের দিকে ডমিনেশন লাইনে মোতায়েন ছিল। কারণ, রাস্তাঘাট, আলোর সুবিধা ছিল। আইবি দূরে ছিল, সেখানে যাতায়াতের সুবিধা ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষজন, যারা বিশেষত চরে চাষবাস করেন তারা বড় সমস্যার মুখোমুখি হন এতদিন। কৃষকদের দাবী ছিল, চেকিং ছাড়াই চরে চাষাবাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হোক! সেই সুবিধা বাড়াতেই চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। যাতে চেকিং ও হয়, চাষাবাদের কাজের সময়ও থাকে।”