নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ ঘড়ির কাঁটা বেলা সাড়ে এগারোটার ঘর ছুঁতে তখনও মিনিট দশেক বাকি। সাইকেলে চেপে বহরমপুর গার্লস কলেজ পেরিয়ে এসে তিন মাথার মোড়ে দাঁড়ালেন গজধরপাড়ার বাবর আলী সেখ। বহরমপুর কলেজের দিকে সাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যেতেই তাঁর পথ রুখল পুলিশ। সাইকেলের পিছনে কোদাল গোঁজা। তিনি স্পষ্টত পুলিশকে পাল্টা বললেন, ” আমি মমতার সভায় যাবো। আমার পথ আটকাচ্ছেন কেনো?” পুলিশ তাঁকে পাল্টা জানায়, “নিরাপত্তার কারণে এই পথ দিয়ে তাঁর যাওয়া যাবে না।”
খানিকক্ষণ অনুরোধ করলেন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজল না। জিজ্ঞাসা করায় জানা যায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন বাবর। সংসারে তিনি আর তাঁর স্ত্রী থাকেন। এক ছেলে সৌদি আরবে থাকে। আর এক ছেলে টোটো চালায়। তিনি সভায় যেতে চান কেন? উত্তরে বলেন, “কী বলে তাই শুনবো, যেটা করতে হবে বলবে সেটা শুনবো”? কী চান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে? এবার তিনি বলেন, “কী চাইবো? মমতা ঘর দিয়েছেন, ফ্রিতে চাল পাই। আটা পাই। আবার কী?” ফের বলেন, “বেকার ভাতা করে দেবেন বলেছেন সেটাও পাব।” কিন্তু সভায় যেতে যে পারলেন না? তাঁর উত্তর “কী আর করবো? অন্য কোনও পথ পেলে চেষ্টা করছি আর একবার।” প্যাডেলে চাপ দিয়ে এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে।
বেলা যত গড়াল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে একসময় পা ফেলা দায় হয়ে উঠেছিল বহরমপুর কলেজ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত রাস্তায়। সেই ভিড় ঠেলে কী বাবর সভায় যেতে পেরেছিলেন? না কি অন্য পথ তিনি আর খুঁজে পাননি শহরে। প্রশ্নটা ঝুলেই থাকল