মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ দশমীর রাতে কান্দি পৌরসভার ৯ নম্বর ওর্য়াডের কাউন্সিলর গুরুপ্রসাদ মুখার্জীর রূপপুরের বাড়িতে হামলার ঘটনায়, এক নম্বর আসামী তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল পরিচালিত খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঘোষ ঘটনায় ৪০ ঘণ্টা পরেও অধরা। এই নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় সুপ্রিয় ঘোষ সহ ১৭ জনের নামে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গুরুপ্রসাদ মুখার্জি।
ঘটনায় কার্যত অস্বস্তিতে জেলা তৃনমূল কংগ্রেস, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের বিধায়ক এবং চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার জানান, ‘তৃনমূলের সমস্ত নেতৃত্ব সে সভাপতি হোক, কিংবা কর্মাধ্যক্ষ, যুব নেতা এরা সবাই যখন মার খেয়ে রক্তাত অবস্থায় আসছে তখন কেও জিজ্ঞেস করেনি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের একটি রোষ থেকেই যাবে। এবং সেই রোষ থেকেই সাধারণ মানুষ ২-৪টি ফুলের টব ভেঙেছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন। যেটাই হোক পুলিশ সেটির সম্পূর্ণ সঠিক ব্যবস্থা নেবে। এই আস্থাই রাখছি।
পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুপক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস থেকে বিজেপি সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু এখনও মূল অভিযুক্ত অধরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই বিষয়ে জানান, ‘পুলিশের কি ক্ষমতা আছে তৃনমূল নেতাকে গ্রেফতার করার? এটাই বাংলা। পুলিশকে লাথ-জুতো মারলেও, পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেবেনা।” এমনই বিস্ফোরক দাবী করেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সাংগঠনিক বহরমপুরে জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার জানান, ‘এটি শুধু কান্দি নয়, গোটা রাজ্যের এই অবস্থা। এখানে মূল অভিযুক্ত একজন হয় তাঁকে না ধরে পুলিশ অন্য আরেকজনকে মিথ্যে মামলায় ধরে ফাঁসিয়ে দেয়। এবং মূল অভিযুক্ত বেরিয়ে চলে আসে।’ যদিও গোটা ঘটনায় জেলা বিজেপি আঙুল তুলছে পুলিশের ওপরেও। দাবী তুলছেন ওনার সাসপেন্ডের।
সমস্ত বিষয় নিয়ে সামনে আসলেও। কান্দির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলার গুরুপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে মূল অভিযুক্ত খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঘোষের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এরপরেও কি করে অধরা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ওপরেও।