উৎসব মিটতেই সামসেরগঞ্জে সর্বনাশ, ভাঙনের গ্রাসে গ্রাম।

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচন্ড গ্রামে মাঝরাতেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চোখের সামনে জলে তলিয়ে যায় প্রায় ২০ টি বাড়ি। গঙ্গায় তলিয়ে গেল কৃষিজমি, গাছপালাও। রাতে ভাঙন শুরু হওয়ায় রীতিমতো আতংকের ছবি গ্রামে। অনেকেই কোনমতে বাঁচিয়েছেন প্রাণ। কিন্তু ভাঙনে সর্বনাশের পর দিনগুজরান হবে কীভাবে? দুশ্চিন্তায় উত্তর চাচন্ডের বাসিন্দারা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হাসিন আহম্মেদ (৬০) জানান, ‘একদমই মাঝরাত তখন। আমি এবং আমার বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পায়। যে আবার ভাঙন ধরেছে। বাড়িঘর সব ডুবতে বসেছে। আমি প্রাণ হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ির সবাইকে বার করি। বাড়ির জিনিষপত্র যেভাবে হোক বার করলাম। নিজে বাঁচবো না ঘর থেকে জিনিষ বার করবো।’ এমনই আতঙ্কের মধ্যে সমস্ত রাত কাটে এলাকার বাসিন্দাদের। একদিকে নিজেদের ভিটেমাটি চলে যাওয়ার কষ্ট। আরেকদিকে রাতের অন্ধকারে ঘুমের মধ্যে প্রাণ চলে যাওয়ার ভয়। সমস্তকিছু মাথায় নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।

এদিন ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যান সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আসেন। এই মুহূর্তে বহু পরিবার আপাতত ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আপাতত একটি স্কুল মাঠেই ব্যবস্থা করা হয় সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্যে। রান্না করা হচ্ছে সেখানেই। যতদিননা কিছু ব্যবস্থা করা যাচ্ছে ততদিন হয়ত এইভাবেই দিনগুজরান করতে হবে। কিন্তু ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান কবে হবে? প্রশ্ন সামসেরগঞ্জের মানুষের। কত রাত এইভাবেই তাদের ভয়ে ঘুমোতে হবে তা কেও জানেনা।