নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ জেলার মা ও শিশুদের কাছে, সবারির প্রথম পৌঁছান আশাকর্মী থেকে শুরু করে আইসিডিএস কর্মীরা। বাচ্চার টীকাকরন থেকে শুরু করে। কখন কী খাবে। সেই সমস্ত বিষয়ে সচেতন করা। সময়ে সময়ে খেয়াল রাখা। এলাকায় বাল্যবিবাহের মতন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যাতে না ঘটে। সেই সমস্ত খবর গ্রাউন্ড জিরো থেকে তুলে ধরেন। মা ও শিশুর পুষ্টি ও পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নেন নিজেদের ঘাড়ে। কিন্তু কেন মিলছে তাঁদের বেতন। সেই প্রশ্ন তুলেই বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে সমাবেশ করলনে সিপিআইএম-এর শ্রমিক সংগঠন সিটু।
আইসিডিএস কর্মীদের বেতন কম এরাজ্যে মাত্র সাড়ে আট হাজার। অন্যান্য রাজ্যের আশা, আইসিডিএস কর্মীদের পারিশ্রমিক সেই তুলনায় অনেক বেশি। বহরমপুরে আশা, আইসিডিএস কর্মীদের সভা থেকে রাজ্যকে তোপ দাগলেন সারাভারত অঙ্গনওয়ারী ও সহায়ক কর্মী ফেডারেশনে সভাপতি উষা রাণী।
এদিন বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে সমাবেশে মহিলাদের সমাবেশ থেকে তিনি জানান, “ভারত তথা বাংলায় পোলিয় মুক্ত কোরতে সাহায্য করেছেন এই অঙ্গনওয়ারি কর্মীরাই। কিন্তু তাঁদেরই এই রাজ্যে বিকলঙ্গ করে রেখেছেন। খুব লজ্জাজনক বিষয় এটি। হরিয়ানা, কেরালার অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা চোদ্দ হাজার করে মাইনে পায়, সেখানে বাংলার কর্মীরা পাচ্ছেন সাড়ে আট হাজার টাকা। কীভাবে চলবে তাঁদের সংসার”।
জেলার বিড়ি শ্রমিক, আইসিডিএস কর্মী, আশা কর্মী, মিডডেমিল কর্মী, নির্মান কর্মীদের বিভিন্ন দাবিতে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার এই সভা থেকে শ্রমজীবী মহিলা কর্মীদের বিক্ষোভ দাবিতে সোচ্চার হন আশা , আইসিডিএস, মিডডেমিল কর্মী সংগঠনের সভানেত্রীরা।সমাবেশ থেকে মুর্শিদাবাদের মহিলা বিড়ি শ্রমিকদের উপর শোষণ নিয়েও সরব হয়েছেন বক্তারা। বহুল টাকার আয় বেড়েছে বিড়ি মালিকদের। কিন্তু সেই বিষয়ে চুপ সরকার, বলেছেন বক্তারা।
এদিন বহরমপুরে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতির সাংগঠনিক কর্মশালা। কর্মশালা উদ্বোধন করে উষা রানি। আলোচনায় উঠে এসে আইসিডিএস কর্মীদের উপর রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই সরকারের শোষণের কথা।