বহরমপুর পুর আর্ট গ্যালারিতে শিল্পী মিজানুরের আঁকা ছবির প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাঝে মাঝে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়। কেও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে হয়তো পরে আছেন। কিন্তু পথ চলতি লোক দেখেও দেখছেন না। কাওকে খুন বা ধর্ষণ করা হচ্ছে জেনেও কেও সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসছেন না। বোধ হয় নিজেরা বিপদে না পড়লে চেতনা ফেরে না! ঠিক এই রকমের অবস্থা মুর্শিদাবাদ জেলার শামসেরগঞ্জ Samserganj ও লালগলার তারানগরের। ভাঙনের জেরে জলের তলায় যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম। প্রতি বছর। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর অনেকেই জানেন না পরের বছর তাঁদের বাড়ি বা জমি থাকবে কি না? এই দুটি এলাকা কি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ?
Art Exhibition on Erosionএকটি বাড়ি করতে অনেককে সারা জীবন অপেক্ষা করতে হয়। আচমকাই গঙ্গা,পদ্মার গ্রাসে চলে যায় ওই ঘর-বাড়ি। লালগলার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলছিলেন, আমার মা মরে যাওয়াতে যত না কষ্ট হয়েছে তারানগর ভেঙে যাওয়াতে ১০০ গুণ বেশি কষ্ট পাচ্ছি। গত ৫ থেকে আজ রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহরমপুর পুর আর্ট গালারিতে ভাঙনের উপর ছবির প্রদর্শনী হল। লালগলার শিল্পী মহম্মদ মিজানুর খানের Md Mijanur Khan আঁকা ছবির প্রদর্শনী। ভাঙন নিয়ে আঁখ দেখা হাল। যা দেখেছেন সেটাই উঠে এসেছে শিল্পীর ইজেলে।
এদিন প্রদর্শনীর শেষ দিনে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা জয়া মিত্র। লেখিকাকে প্রতিটা ফ্রেম এর বর্ণনা দিচ্ছিলেন মিজানুর খান। তাতে জয়া Jaya Mitra এই বিষয়ে তাঁর বেদনার কথা বলছিলেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিএসএফের পেট্রলিং চলছে। রাস্তা নেমে গিয়েছে। পাশেই বাংলাদেশ। একই ফ্রেমে ধরা। অন্য একটি ছবিতে ভেঙে পরা ঘরের চাতালে বসে শিশুর চোখ জলরাশি পেরিয়ে দিগন্তের দিকে। দেখে মনে হবে ক্যামেরায় তোলা। জীবন্ত। শিল্পী মিজানুর রহমান বলেন, ভাঙনের বিষয়ে প্রশাসনের অবহেলা রয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় চলে যাচ্ছে। দিশাহীন অবস্থা। জয়া মিত্র বলেন, একটি মন্তব্য করে বলা যাবে না। ওই অবস্থা দেখে এসেছি। তাঁদের কথা ভাবা হয় না।