দেবনীল সরকারঃ এবারে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ল ধৃতি ফাউন্ডেশনের Dhriti Foundation ‘কুঞ্জছায়া’ Kunjachaya সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি Durgapuja Committee । জিয়াগঞ্জ Jiaganj তথা জেলার গর্ব গায়ক অরিজিৎ সিংহ । অরিজিতের সহজ সরল জীবনযাপন অনেকেরই অনুপ্রেরণা । অরিজিত ও তাঁর স্থানীয় সমাজসেবী বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলা সমাজসেবী সংস্থা ‘ধৃতি ফাউন্ডেশন’ । এলাকার দুঃস্থ মানুষদের সর্বদা পাশে থাকে এই সংস্থা । সারা বছর ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম থাকে ধৃতি’র ।
মেডিক্যাল ক্যাম্প, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা পরিবারের বাচ্চাদের জন্য চাইল্ড স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের নিয়ে ক্যাম্প, বছরের বিভিন্ন সময়ে দুঃস্থ শিশুদের পোশাক ও ওষুধপথ্যের পরিসেবা দিয়ে থাকে জিয়াগঞ্জের ‘ধৃতি ফাউন্ডেশন’ । করোনা আবহের মধ্যেও দিবারাত্র শহরের মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এসেছে ধৃতি ফাউন্ডেশন । আগের বছর থেকে মা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছে তাঁরা । এবছর নতুন ভাবনায় ‘থিমঃ সর্বজয়া’ জিয়াগঞ্জ তথা জেলাবাসীকে উপহার দিতে চলেছে এই সংস্থা।
কুঞ্জছায়া’র এই বছরের পুজোর থিম পরিকল্পনা হল সর্বজয়া। মা –এর সর্বজয়া রূপকে তাঁদের ভাবনায় ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী সুজিত। দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালির আনন্দ চিরকালীন। সেই চিরকালীন আনন্দে যাতে কারও ভাটা না পড়ে সেই জন্য আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কুঞ্জছায়া।
পুজোর প্রায় দুমাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে প্যান্ডেলের। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কুটির শিল্পীরা এসে বানিয়েছেন কুলো, ঝুড়ি, মাদুর ইত্যাদি। খড় বেঁধে, বাঁশ-বেত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দ্রব্য দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করে গ্রামীণ আবহকে টিকিয়ে রাখতেই ধৃতি ফাউন্ডেশনের ভাবনা থিমঃ সর্বজয়া।
পঞ্চমীতে উদ্বোধন হবে পুজো প্যান্ডেলের। ধূমধাম করে পুজো তো হবেই সাথে থাকবে ধৃতি ফাউন্ডেশনের একাধিক সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম। কুঞ্জছায়া সার্বজনীনের সেক্রেটারি অন্তু সাহা বলেন, প্রথম বছরে পঞ্চমীর দিন আমাদের মণ্ডপ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহা । সেই বছর পুজোর চারদিন ব্যাপী ছিল নানান অনুষ্ঠান । দুঃস্থ বাচ্চাদের বেবিফুড দেওয়া । উপসি মহিলাদের জন্য ফল বিতরণ করা হয়েছিল । এবারেও থাকবে বিভিন্ন কাজ। বলা যায় মানুষের কাজে কাজেই পুজো উদযাপন করে অরিজিৎ -এর স্বপ্নের ধৃতি ফাউন্ডেশন। অরিজিত কখন আসবেন মণ্ডপে সেই আশায় ভিড় জমাবেন অনেকেই।