মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ উসকো খুসকো চুল। গালে কয়েক দিনের না কাটা দাড়ি। পরনে বেগুনি টিশার্ট। গলায় চাঁদির চেন। ‘ঠাকুরের’ লকেট । বয়স বছর ৩০। পিঠে একটা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন । পকেট গড়ের মাঠ। পদ যুগলে ভরসা করে হেঁটেই বেড়িয়ে পড়লেন! তার নাম দীপ। জ্বলন্ত প্রদীপের মতো চনমনে আবেগ। কলকাতা এয়ারপোর্ট এর কয়েক কিলোমিটার দূরে মধ্যমগ্রাম থেকে সোজা মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ। সময় লাগলো ৭ দিন। পথের দুরত্ব ২০০ কিলোমিটার ।
অবশেষে আশা পূরণ। সামনে সেই প্রিয়জন। যার জন্যে কার্যত দিন রাত এক করে নাওয়া খাওয়া ভুলে শুধুই হেঁটে যাওয়া। পথের ধুলো, বৃষ্টি কোনও কিছুই তখন সমস্যার মনে হয়নি। যত হেঁটেছেন মনে হয়েছে স্বপ্ন পুরনের পথে এগিয়েছেন। খবর মিলেছিল মুম্বই নয় । প্রিয় গায়ক দেশের বাড়িতে রয়েছেন। তাঁকে নিরাশ করেননি তাঁর স্বপ্নের সেই প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। যার গানে মাতোয়ারা আসমুদ্র হিমাচল। দেখা করেই আবেগবিহ্বল হয়ে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গানগরের হেঁটে আসা সেই যুবক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যার গান শোনেন । সামনে তিনি।
ভক্তের মতো বুকে হাত ঠেকিয়ে বললেন, ভক্ত মন্দিরে যায় পায়ে হেঁটে মনের ইচ্ছে পূরণ করতে। আমার সুরের প্রভুর কাছে সেরকম আমি এসেছি। নিজেকেও প্রমান করতে পারলাম ক্ষুদ্রতম হলেও আমি তাঁর ভক্ত। এয়ারপোর্ট গঙ্গানগর থেকে ২৬শে জুলাই রওনা দিয়েছিলাম। ১ আগস্ট জিয়াগঞ্জে পৌঁছই। তার ব্যবহারে আমি আপ্লুত। মনের মতো শিল্পী আর হৃদয়ের মানুষ অরিজিৎ সিং। এই দুটো একসঙ্গে পৃথিবীতে দ্বিতীয় ব্যক্তি পাওয়া খুব মুশকিল ।