Apurba invites Adhir “গুরু” অধীরকে তৃণমূলে ডাকছেন ডেভিড !

Published By: Madhyabanga News | Published On:

Apurba invites Adhir  এক সময় ছিল গুরু শিষ্যর সম্পর্ক। রাজনীতির ছক্কা, পাঞ্জায় সেই সম্পর্ক পরিণত হয়েছে শত্রুতায়। তবে গুরু যখন নিজের দলেই কোনঠাসা। সেই সময় তাঁকে নিজের দলে ডাকলেন শিষ্য। গুরু বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ, খাতায় কলমে এখনও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury । শিষ্য কান্দির তৃণমূল বিধায়ক, তৃণমূলের  মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার । ২০১৮ সালে অধীরের সঙ্গত্যাগ করেছিলেন অপূর্ব সরকার Apurba Sarkar । ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১৯’এর লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটেও লড়েন ডেভিড । তবে সেবার পরাজিত হন তিনি। কালক্রমে তিনিই এখন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।

Apurba invites Adhir আরও পড়ুনঃ Adhir Chowdhury কংগ্রেসে শেষ অধীর ইনিংস । এবার অপেক্ষা কার ?

বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এবার সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি ।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীরের অপসারণ নিশ্চিত। এখনও প্রদেশ সভাপতি হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করে নি হাই কমান্ড।   এর মাঝেই  অধীরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরামর্শ অধীরের এক সময়ের সঙ্গী অপূর্ব সরকারের। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারে আহ্বান, মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলুন অধীর। অপূর্ব জানান, অধীরের নেতৃত্বে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই তাঁর ।

Apurba invites Adhir  এদিন অপূর্ব যদিও অধীরের নাম না করেই বলেন যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি। হাত মিলিয়েছিলেন সেই দলের সঙ্গে যে দলের কর্মীদের হাতে খুন হয়েছে  কংগ্রেস কর্মীরা। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ছে ওই দল। এরপর অপূর্ব বলেন, “রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাঁর রাজনীতির আঙিনায় থাকা উচিত। রাজনীতি মানে হল মানুষের সঙ্গে থাকা এটা প্রমাণ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ওনাকেও (অধীর চৌধুরীকে) বলব, মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলুন, হাত ধরুন”।

Apurba invites Adhir  ডেভিডের দাবি, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মমতা, অভিষেক যাকে মাথায় বসাবেন তাঁর নির্দেশেই কাজ করবেন তিনি। আপত্তি নেই অধীর নেতা হলেও। তৃণমূল বিরোধিতার প্রশ্নে হাই কমান্ডের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে অধীরের। হারাচ্ছেন প্রদেশ সভাপতির পদও। এর মাঝেই অপূর্বর প্রস্তাবে জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।