Apple Kul বাজারে দেখা মিলছে অভিনব এক ফলের, যা দেখতে আপেলের মতো, কিন্তু আসলে কুল (Ziziphus mauritiana) । বিদ্যা দেবীর আরাধনায় কুল একটি বিশেষ ফল হিসেবে প্রচলিত। আর এই সরস্বতী পুজোর Vasant Panchami আগে বাজার দখল করে নিয়েছে ‘আপেল কুল’। লাল রঙের, মসৃণ ত্বকের এই ফল দেখতে হুবহু আপেলের মতো, তবে খেতে স্বাদে অনেকটাই কুলের মতো। বহরমপুরের বাজারে এখন এই ‘আপেল কুল’-এর দাপট চোখে পড়ার মতো।
Apple Kul কেমন হচ্ছে বিক্রি ?
একজন ব্যবসায়ী পিক্লু দাস জানালেন, “কিছুদিন ধরে আপেল কুলের চাহিদা বেশ ভালোই। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরস্বতী পুজোর পর চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।” কোথা থেকে আসছে ‘আপেল কুল’?
এই ফল আদতে কাশ্মীর থেকে নয়, বরং মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চাষ করা হচ্ছে। জেলার কৃষকেরা এখন বড় আকারের ‘আপেল কুল’ উৎপাদনে মন দিয়েছেন। দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় এবং স্বাদে ভালো হওয়ায় ক্রেতারা বেশ আগ্রহী এই ফল কিনতে। আর সরস্বতী পুজোর আগে কুলের চাহিদা এমনিতেই তুঙ্গে থাকে।
ব্যবসায়ী শ্যামল ঘোষ বললেন, “রূপে আপেলের মতো হলেও, এটা কিন্তু আমাদের কুল। সরস্বতী পুজোর আগে চাহিদা বাড়ে। সরস্বতী পুজোতেই এই কুল ব্যবহার হয়।”
Apple Kul স্বাদে আপেল, রূপে কুল
‘আপেল কুল’ দেখতে অনেকটা ছোট আকারের আপেলের মতো হলেও এর স্বাদ যথেষ্ট মিষ্টি ও রসালো। চাষিরা তাই একে সহজেই ‘আপেল কুল’ নামে পরিচিত করেছেন। আপেল কুলের উৎপাদন যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনই তার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুবোধ দাস নামে এক ব্যবসায়ী জানালেন, “এখন দাম ৪০-৫০ টাকা কেজি। সরস্বতী পুজোর পর চাহিদা বেড়ে গেলে দাম আরও কমতে পারে।”
Apple Kul কুল খাওয়ার উপকারিতা
কুলের উপকারিতা প্রচুর। এটি ভিটামিন সি-তে ভরপুর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতকালীন এই ফল দেহকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। এছাড়া কুল হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক এবং ত্বকের জন্যও ভালো।
সরস্বতী পুজোর আগের সময়টা কুল কেনার একদম উপযুক্ত। সরস্বতী পুজোর দিন ঠাকুরের পায়ের কাছে যে কুল দেওয়া হয়, তা এই ‘আপেল কুল’-এর সৌন্দর্য দিয়ে পূজা মণ্ডপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ‘আপেল কুল’ চাষে মুর্শিদাবাদ জেলা একটি বড় নাম হয়ে উঠবে।