এখন খবরমধ্যবঙ্গ নিউজপরিবেশবিনোদনহেলথ ওয়াচখেলাঘরে বাইরেলাইফস্টাইলঅন্যান্য

Murshidabad Zilla Parishad: ছয় মাস পরে সাধারণ সভার বৈঠক, তোপের মুখে তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ

Published on: September 22, 2025
Murshidabad Zilla Parishad

শুধু বিরোধীরাই নয়, প্রশ্ন তুললেন শাসকদলের সদস্যরাও

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ছয় মাস পরে সাধারণ সভার বৈঠক ডেকে তোপের মুখে তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ (Murshidabad Zilla Parishad) কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর বৈঠকে, বিরোধী সদস্যরাই নয়, শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্যরাও তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। সোমবার জেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্যে ওই বৈঠকে দেখা গেলনা জেলায় শাসকদলের এক বিধায়ককেও। এই বিষয়ে সাফাই দিলেন বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেন, ”বেশিরভাগ বিধায়কের আজ কলকাতায় বৈঠক আছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আছে। এক্স অফিসিও সদস্য। সবাইকে আসতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। আগামী দিনে সবাই আসবেন”।

Murshidabad Zilla Parishad

Murshidabad Zilla Parishad বিরোধী দলের পক্ষে জলঙ্গী ব্লকের সদস্য ইমরান হোসেন বলেন, ছয় মাস পরে সাধারণ সভা হল। মুর্শিদাবাদ অনেক বড় জেলা। প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে হয়। এটা তার জায়গা। কিন্তু কোনওভাবেই ৩ মাস পর এই সভা ডাকেন না। আবার নামেই ৬ মাস পর ডাকেন। তাতে আলোচনার মান খুব খারাপ। আমরা আলোচনা করতে গেলে শাসকদলে যারা আছেন তাঁরা বিভিন্নভাবে বাধা দেন। আজ সাংসদ হস্তক্ষেপ করে বলেন বিরোধী সদস্যরা বলুক। ফলে আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। জেলা পরিষদের উন্নয়ন, জেলার সার্বিক উন্নয়নে শামিল হচ্ছে না। আমাদের ৭৮ জন জেলা পরিষদের সদস্য আছেন তাঁদের সবাইকে নিয়ে কাজ করলে তবেই হবে। কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ, সভাধিপতিকে নিয়ে চলছে জেলা পরিষদ। এইভাবে চলতে পারে না। মুর্শিদাবাদ জেলায় রবীন্দ্রনাথ ডায়গনস্টিক সেন্টার অচল হয়ে পড়ে আছে। কেন পড়ে আছে জানতে চেয়েছি। আজকে এখানে একটি কলেজ পড়ে আছে। ভান্ডারদহ বিল, শিয়ালমারি বিল সংস্কার দরকার বলে জানিয়েছি। শাসকদলের সদস্যরাও অভিযোগ করছেন, কেন এটা হচ্ছে। ইসলামপুরের জেলা পরিষদের সদস্য অভিযোগ করেছেন। হরিহরপাড়ার ব্লক সভাপতি, জলঙ্গীর সদস্য অভিযোগ করেছেন।

Murshidabad Zilla Parishad

এদিন বৈঠকের পরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে ৪৫ কোটি টাকা আছে। ২০২৪-২৫ সালে মোট ২৪৮ কোটি টাকা পেয়েছিলাম। তার মধ্যে ২০৪ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। বাকি টাকার মধ্যে ৩৬ কোটি টাকার আমাদের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। আমাদের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। সবাই চাইছেন সেই কলেজের যে জায়গা আছে তা সরকারকে হস্তান্তর করা হোক। বা জেলা পরিষদ কোনও সিদ্ধান্ত নিক। সেটাতে ভালো কিছু করা হোক। আগামী দিনে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, জেলা পরিষদের নেতৃত্বে চলা রবীন্দ্রনাথ ডায়গনস্টিক সেন্টারটি প্রায় উঠেই গিয়েছে। তা যেন বেসরকারি হাতে না যায়। সরকারি উদ্যোগে চালু হোক।

আরও পড়ুনঃ Murshidabad TMC Khalilur Rahaman: প্রশ্নের মুখে খলিলুরের নেতৃত্ব, তৃণমূলের কমিটি গঠনে ব্রাত্য জেলা সভাপতি

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now