Agriculture News আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে। শঙ্কিত চাষিদের মাথায় হাত! সোমবার কান্দি মহকুমার কৃষকদের অনেককেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী, পরিবারের সবাই মিলে মাঠে দে ছুট। পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে। খরচের নিরিখে চাষে লাভ নেই। তার উপরে মাঠে যাতে ধান না মারা যায়, সেজন্যে পরিমরি করে ধান আঁটি বেঁধে ঘরে আনার কাজ চলল এদিন সারা দিন। যাদের ধান তোলা আছে ঝরাতে লাগলেন, যেভাবেই হোক।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে ১ মাসে ৫ লক্ষ কুইন্টাল ধান কিনল সরকার
Agriculture News ধান চাষে খরচ কেমন ?
Agriculture News কৃষকরা জানান, এবার ১ বিঘে জমিতে বর্ষার ধান লাগাতে খরচ হয়েছে গড়ে ১২ হাজার টাকা।। ধান ঘরে তুলে বিক্রি করতে পারলে ১৫ হাজার টাকা হতে পারে। আর বৃষ্টি হলে—! তবে এই বিষয়ে এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা উৎপল মন্ডল জানান, তামিলনাড়ুর দিকে একটা নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘ। অধিকাংশ ধান তোলা হয়ে গিয়েছে। এখনো যাদের ধান পড়ে আছে তাঁদের চিন্তার। তবে আমাদের কাছে যা পূর্বাভাস রয়েছে এখন বৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

Agriculture News কান্দি মহকুমার ( Kandi subdivision) কৃষকরা জানান, শ্রাবণ মাসে ধান লাগিয়েছি। তার আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে বীজ ফেলা হয়েছে। বিঘে প্রতি ৩ কেজি বীজ। চাষে খরচ বিঘে প্রতি ১২০০ টাকা। এবছর ভালো বৃষ্টি হওয়ায় জল লাগেনি। প্রতি বিঘেতে ৪ টে শ্রমিক। খরচ ১৬০০ টাকা। রাসায়নিক সারে খরচ ১৬০০ টাকা। শোষক পোকা, মাজরা সহ পোকার আক্রমণ রুখতে চার বার বিষ দেওয়া হয়েছে। খরচ ১৫০০ টাকা। বিঘে প্রতি জমি নিড়ানো, আল ঝোরা নিয়ে চারটি শ্রমিক। মোট খরচ ১৬০০ টাকা।
Agriculture News ধান আঁটি বাঁধা, গাড়িতে বাড়ি নিয়ে আসা ২ হাজার টাকা। ঝরাতে খরচ ১২০০ টাকা। শেষে বিঘেতে ৬ কুইন্টাল বা তার একটু বেশি ধান। ফড়েদের কাছে বিক্রি করলে ২ হাজার টাকা কুইন্টাল। বাইরে বিক্রি করলে একটু বেশি। আরও আনুষঙ্গিক খরচ ধরে গড়ে ১২০০০ টাকা। সব মিলিয়ে ১৫-১৬ হাজার টাকা ধান বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে ৬ মাসে ৪ হাজার টাকা বিঘে প্রতি আয়।
Agriculture News তাতে প্রতিদিন তদারকি করতে হয়। মনোজ মন্ডল, সুখেন মণ্ডল, রমেন মণ্ডলরা বলছিলেন, বৃষ্টি হলে সেটুকুও ঘরে ঢুকবে না। কৃষকরা জানান, ঘরে খাবার জন্যে দেশি স্বর্ণ অল্প জমিতে লাগান তাঁরা। ওই ধান সেদ্ধ করে ভাত, মুড়ি খাওয়া হয়। উন্নত প্রজাতির ভালো ফলন হওয়ায় বেশিরভাগ জমিতে ‘বি১১’ ওরফে ‘বোল্ডার’ ধান লাগানো হয়।















