মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শীতের মরশুমের ফসলে বিনামূল্যে বীমা দেবে কৃষি দপ্তর। এই তালিকায় রয়েছে বোরো ধান, গম, রবি ভুট্টা থেকে আলুও। রবি মরসুমে বিভিন্ন ফসলের বীমার জন্য আবেদন করতে পারবেন চাষিরা। চাষিদের ‘বাংলা শস্যবীমা’ নিয়ে সচেতন করতে ট্যাবলো করে প্রচার হল জেলা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে দুটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়। এই ট্যাবলো বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে। কৃষকদের শস্যবীমা নিয়ে সচেতনে করতেই এই উদ্যোগ। এদিন ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক উন্নয়ন চিরন্তন প্রামাণিক, জেলা কৃষি অধিকর্তা মোহনলাল কুমার, বহরমপুর ব্লক কৃষি অধিকর্তা মিঠুন সাহা সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা। কৃষকরা এই কৃষি বীমার আওতায় আসলে ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানান কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা।
এছাড়াও চাষি আরও যে সমস্ত সুবিধা পাবেঃ
রোপন এবং বপন জনিত বিফলতার ক্ষেত্রে এই বীমাকৃত চাষিরা তাঁদের বীমা রাশির সর্বাধিক ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হলে চাষিরা পেতে পারেন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ।
এছাড়াও রবি মরশুম শেষে যদি চাষিদের কোনও রকমের ক্ষতি হয় সেই ক্ষেত্রেও ক্ষতির পরিমাণ করে চাষিদের টাকা দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) চিরন্তন প্রামাণিক জানান, এই কৃষি বীমার আওতায় প্রায় ১২ থেকে ১৪ রকমের ফসল রয়েছে। কেবল রবি শস্যের জন্যেই আপাতত এই বীমা লাঘু হবে। আজ থেকে প্রচারের কাজ শুরু হল ট্যাবলো বার করার মধ্যদিয়ে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এই বীমায় সাহায্য পাবেন চাষিরা এমনটাই জানানলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক চিরন্তন প্রামাণিক। যেহেতু এই বীমা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তর্ভুক্ত তাই এখানে কোনরকমের ভুল কাজ হবে না, স্পষ্টতই জানান আধিকারিক। ধীরে ধীরে এই প্রচার চলবে সমস্ত জেলা জুড়েই। বুধবার তার শুরু হল। কেবল মাত্র আলু এবং আঁখ এই দুটি শস্যের ক্ষেত্রে চাষিদের নিজেদের থেকে কিছু সামান্য টাকা দিয়ে এই বীমা করাতে হবে জানান তিনি।
মুর্শিদাবাদ একটি কৃষি প্রধান জেলা। যেখানে কৃষির ওপর ভরসা করে অনেক মানুষের জীবিকা চলে। এই বছর বেশ কিছু ফসলে লাভের মুখ দেখতে পাননি চাষিরা। সেই সমস্যা দূর করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ।