পবিত্র ত্রিবেদীঃ এবার বর্ষার ধানের জমিতে আগাছা বেশি জন্মাচ্ছে । আবার সেই আগাছা তুলতেও খাটনি বেশি হচ্ছে। যে কারণে ধান নিড়ানোর জন্য বেশি শ্রমিক দরকার হওয়ায় খরচ হচ্ছে বেশি। তা নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। এখন কয়েকদিন নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু, এবছর অনাবৃষ্টির জেরে নলকূপের সেচের মাধ্যমে বর্ষার ধান চাষ হয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। বর্ষার অপেক্ষা করার পর শেষে সেচের নলকূপের সাহায্যে চাষ হয়েছে। ফলে চাষ করতে দেরি হয়েছে। আর সে কারণে আগাছা বেশি জন্মাচ্ছে বলে কৃষকরা তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে মনে করছেন।
কান্দি মহকুমায় ধান উৎপাদন মুর্শিদাবাদ জেলায় ভালো হয়। সেখানকার কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে এক বিঘা জমিতে ঘাস পরিষ্কার করার জন্য যে সংখ্যক শ্রমিক দরকার হতো, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রমিকের দরকার পড়ছে। এমনিতে সেচের জন্য এবার বেশি খরচ হচ্ছে। তার উপরে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। সেখানে আবার আগাছা পরিষ্কার করার জন্য শ্রমিকের খরচ বাড়ছে। ফলে চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের। উল্লেখ্য, এই কান্দি মহকুমাতে প্রায় 70 হাজার হেক্টর জমিতে এবার ধান চাষ হয়েছে। এক কৃষক সোমবার জানিয়েছেন, ধানের চারা রোপণ করার দুদিন পরেই ঘাস সহ আগাছা মরার বিষ দিয়েছিলাম । কিন্তু তাতেও আটকানো যাচ্ছে না।