ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ডের বাসিন্দারা
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পুজোর কয়েকদিন রেহাই মিলেছিল। নিম্নচাপের বৃষ্টি ফের তাণ্ডব শুরু করেছে। গঙ্গায় জলস্তর বাড়লেই আতঙ্ক শুরু হয়। দুর্গাপুজো মিটতেই নতুন করে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের (Samserganj) চাচন্ড গ্রামে। রবিবার রাত নটার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। ভাঙনের গর্ভে তলিয়ে যায় নদীর ধারে থাকা বাঁধের একটি রাস্তার একাংশ। উত্তর চাচণ্ড ও মধ্য চাচণ্ড এর সংযোগস্থল। বিশালাকারের ফাটল ধরে ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দিরে। কালী মন্দিরের নীচের অংশের মাটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। প্রায় ১০০ মিটার জমিও যায় গঙ্গা গর্ভে। রাতে ভাঙন শুরু হতেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। ঘুম বন্ধ এলাকাবাসীর। কালী মন্দির ভাঙনের হাত থেকে যেন রক্ষা পায়। প্রার্থনা করেন এলাকাবাসী। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। সোমবার লক্ষ্মীপুজোর দিন সর্বস্বান্ত এলাকাবাসীর অনেকে।
Samserganj Land Erosion গত শনিবার উত্তর চাচন্ড গ্রামে গঙ্গাপারে ধস নামে। তাতে অন্তত ৫০ মিটার এলাকা ধসে যায়। সোমবার লক্ষ্মী পুজোর দিন সকাল থেকে নতুন করে ভাঙন শুরু না হলেও আতঙ্ক তাড়া করে স্থানীয়দের।
আরও পড়ুনঃ Berhampore Case বহরমপুরে ১ কোটির সোনা নিয়ে বধূর নাটক ! পুলিস করল ফাঁস
রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দা বাপি সিংহ বলেন, সকাল থেকেই আমরা দেখছি অল্প করে মাটি নেমে যাচ্ছে। রাত ৯ টার দিকে অনেকটা জায়গা বসে গিয়েছে। বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখানে ১০০ বছরের প্রাচীন কালী মন্দির রয়েছে। সেই চত্বরে ফাটল ধরে।
Samserganj Land Erosion অসহায় হয়ে বৃদ্ধা মায়া সিংহ বলেন, এখন জনতা কোথায় যাবেন? বান-বর্ষাতে জনতা কোথায় যাবে? আমাদের মন্দির চলে গেল। সরকারের চোখ নেই। ঠিকাদারদের টাকা দিয়েছে তারা কাজ করেনি। বালির বস্তা দিয়ে কিছু হচ্ছে না। পাথর দিতে পারতো। প্রশাসনের কেও আসেননি । মন্দির তলিয়ে যেতে পারে। তা আটকাতে উদ্বেগে রাত কাটালেন শাজাউলরা। স্থানীয় বাসিন্দা শাজাউল সেখ বলেন, সন্ধ্যায় ঠিক ছিল। রাত ৯ টার দিকে ফাটল ধরে। অনেক দূরের এলাকা নিয়ে ফাটল ধরে। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন সিংহ বলেন, বালির বস্তা ফেলতে দিলাম না। লাভ নেই। আমার ঘর কি আটকানো গেল? এক জন সিভিকেরও দেখা পাওয়া যায়নি।