বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়, বহরমপুরঃ আদিবাসীদের উন্নয়ন কোথায়। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে সমস্ত নকল এসটি শংসাপত্র নিয়ে অন্যরা কাজ করছেন তাদের জায়গায়। এই সব শংসাপত্র বাতিলের দাবিতে এবার পথে নামল আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে বহরমপুরে মিছিল করে প্রতিবাদ জানায় পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। তাদের দাবি, গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে আদিবাসীদের নকল শংসাপত্রের জালিয়াতি চলছে।
তা দেখিয়ে অনেকেই সরকারি পদে চাকরিও করছে। প্রকৃত আদিবাসীদের বঞ্চিত করে যারা নন এসটি তাঁরা সরকারি সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। অবিলম্বে নন এসটিদের জাল শংসাপত্র বাতিল করা এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এদিন রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সহ-সভাপতি জামিন হাঁসদা বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা ও অসাধু আধিকারিকদের যোগসাজশে এসটি সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। প্রকৃত আদিবাসিরা সেই শংসাপত্র পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীও তা স্বীকার করেছেন।” তাঁর দাবি, ” ভুয়ো সেইসব শংসাপত্র বাতিল করে চাকরি থেকে তাদের বরখাস্ত করতে হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”
জামিন হাঁসদা, রাজ্য সহ-সভাপতি, পশিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি বলেন “দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা ও অসাধু আধিকারিকদের যোগসাজশে এসটি সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। প্রকৃত আদিবাসিরা সেই শংসাপত্র পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীও তা স্বীকার করেছেন।” তাঁর দাবি, ” ভুয়ো সেইসব শংসাপত্র বাতিল করে চাকরি থেকে তাদের বরখাস্ত করতে হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।” সংগঠনের সক্রিয় সদস্য রেবেকা হাঁসদা আক্ষেপের সুরে বলেন, “আমরা বঞ্চিতদের দলেই থেকে গিয়েছি। আদিবাসীরা কীভাবে উঠে আসবে। আমাদের সংরক্ষিত ৬ শতাংশ জায়গায়ও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমস্যা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।” আর এক সদস্য হুপেন হেমব্রম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তার সঠিক রূপায়ন হলে আমাদের এভাবে আন্দোলনে করতে হত না।”
বহরমপুরে সিধু কানু মুর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় জেলা প্রশাসনিক ভবনের কাছে। শেষ হয়। জাল শংসাপত্র বাতিলের পাশাপাশি আদিবাসীদের হস্টেলের পরিকাঠামো উন্নত করা, সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুল গুলিকে ঢেলে সাজা সহ একাদিক দাবিও জানান হয় এদিন।