নিজস্ব সংবাদদাতা, রেজিনগরঃ হাতের নাগালে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পরেন বহরমপুরের কুঞ্জঘাটার ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবি তোলেন তাঁরা। ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অচলাবস্থা কাটাতে নিজের সাংসদ তহবিল উজার করে দেবেন বলেও তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন অধীর। সাক্ষী থাকলেন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যরা।
দু’দিনের জেলা সফরে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে এসেছেন তাঁরা। রেজিনগর বেলডাঙা ও ভাবতার একাধিক জায়গায় জমি জটের কারণে থমকে রয়েছে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। কুঞ্জঘাটার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ও দেখতে গিয়েছিলেন পিএসির জনা দশেক সদস্য। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক আধিকারিকরা। ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্রও।
এদিন তাঁরা প্রথমে বেলা তিনটের সময় রেজিনগর বাজার এলাকায় যান । সেখানে যানজটের কারণ খতিয়ে দেখেন। খোঁজা হয় সমাধানের রাস্তাও। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান অধীরও। এরপর রেজিনগর থেকে তাঁরা চলে যান বেলডাঙায়। বড়ুয়া মোড়েও দাঁড়িয়েও দেখেন রাস্তার যানজট। বেলডাঙাতে জমি জটে থমকে আছে চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ। জট কাটিয়ে সেই রাস্তা কীভাবে দ্রুত শেষ করা যায় তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা।
অধীর বলেন, “ বড়ুয়ার মোড়ে যানজট কাটাতে রাস্তার উপর এক কিলোমিটারের সেতু তৈরি করবে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ। তৈরি হবে সার্ভিস রোড, তাছাড়াও নিকাশী ব্যবস্থাও তৈরি করা হবে।” এরপর তারা চলে যান ভাবতায়। ভাবতায় রেলগেটের ওপর নির্মিয়মাণ সেতুর কাজও থমকে আছে দীর্ঘদিন থেকে। সেই সেতুও পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। বহরমপুরে কুঞ্জঘাটার কাছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বহরমপুর পুরসভাও সেই কাজে সম্প্রতি হাত দিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। সেই অভিযোগ ও তার সমাধানের রাস্তা খুঁজতে এদিন সেখানেও যান কমিটির সদস্যরা। বহরমপুরের সাংসদের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পরেন স্থানীয়রা। খাগড়া ঘাট শ্মশান পরিদর্শন ও করেন তাঁরা। আগামীকাল কমিটির সদস্যরা রেজিনগর থেকে লালগোলা রেলপথ পরিদর্শনে যাবেন।