রাহুল শেখ, বহরমপুরঃ সোমবারই শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। প্রথম দিনেই লোকসভায় জমা পড়বে মহুয়া মৈত্রর লোকসভার সদস্যপদ বাতিলে সুপারিশ সম্বলিত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। তার আগে ফের মহুয়ার হয়ে সওয়াল করলেন বহরমপুরের সাংসদ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’অভিযোগে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে এথিক্স কমিটি । লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করার সুপারিশ করে হয়েছে রিপোর্টে। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সংসদের নিম্নকক্ষে জমা পড়তে চলেছে সেই রিপোর্ট। তার আগে শনিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মহুয়ার হয়েই মাঠে নেমেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
অধীর জানিয়েছেন, এথিক্স কমিটির কার্যপ্রণালী নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর এদিন এথিক্স কমিটির তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন অধীর বলেন, “আমাদের কমিটির শর্ত হল আমাদের কমিটির কথা বাইরে প্রকাশ করা যায় না। আমরা অনেক সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করি, সেখানে ভারতের আর্মি আছে, অনেক অনেক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কিন্তু এখানে প্রথম দিন থেকে একটা করে মিটিং হচ্ছে তারপর চেয়ারম্যান তার দলের নেতাদের নিয়ে এসে বাইরে ঘোষণা করছেন একটা এমপির বিরুদ্ধে কী কী করা হবে, না হবে। এটা একটা অনৈতিক কাজ বলে আমি মনে করি”।
অধীরের দাবি, সংসদের একজন সদস্যকে এভাবে অপমান করা হচ্ছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিয়ে এদিন ফের প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। অধীর বলেছেন, “ ২০০৫ সালে পার্লামেন্ট থেকে ৫ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেখা গিয়েছিল তাঁরা টাকা নিচ্ছে। কিন্তু, এখানে কোন প্রমান আছে ?”।
অন্যদিকে লোকসভার শীতলাকীন অধিবেষণ শুরুর আগে শনিবারই সর্বদল বৈঠক হয় দিল্লিতে। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষে এই বৈঠকে যোগ দেন লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ওই সভাতেও মহুয়া প্রসঙ্গ তুলেছে তৃণমূল।